নয়াদিল্লি: ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হলেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। বৃহস্পতিবার তাঁকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এখনও পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির পদে আসীন রয়েছেন CJI ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামী ১০ নভেম্বর তাঁর অবসরগ্রহণের কথা। এর পরই, ১১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিচারপতি খন্না, দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন। (Sanjiv Khanna Next CJI)


দেশের পরবর্তী হিসেবে বিচারপতি খন্নার নাম ঘোষণা হয়েছিল আগেই। বর্তমান CJI চন্দ্রচূড়ই তাঁর নাম সুপারিশ করেন। ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন CJI চন্দ্রচূড়। ৬৫ বছর বয়সে অবসরগ্রহণ করছেন তিনি। এদিন বিচারপতি খন্নার নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেন, "সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে, দেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিচারপতি সঞ্জীব খন্নাকে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি তথা দেশের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করলেন। ১১ নভেম্বর দায়িত্বগ্রহণ করবেন তিনি।" (Supreme Court CJI)


দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিচারপতি খন্না। আগামী প্রায় সাত মাস, অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১৩ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে পদে আসীন থাকবেন তিনি।  ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন বিচারপতি খন্না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর মামলার শুনানি করেছেন তিনি।



আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের মামলার শুনানি করেন বিচারপতি খন্না। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায়, দলের অন্য দুই নেতা মণীশ সিসৌদিয়া এবং সঞ্জয় সিংহের জামিনের মামলাও তাঁর হাতে ছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে, চলতি বছরের মে মাসে কেজরিওয়ালকে প্রচারে যোগ দিতে জামিন দেন তিনিই, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।


এর পাশাপাশি, বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র অর্থাৎ EVM, VVPAT নিয়েও শুনানি করেন বিচারপতি খন্না। ১০০ শতাংশ ক্ষেত্রে VVPAT ব্যবহারের দাবি যদিও খারিজ করে দেন তিনি। তবে নির্বাচন কমিশনকে বাড়তি নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণের নির্দেশ দেন। জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সংরক্ষিত অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার এবং নির্বাচনী বন্ড মামলাতেও যুক্ত ছিলেন তিনি।