বীরভূম: হেভিওয়েটদের গ্রাম-সফর ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। বুধবার বোলপুর থেকে ফেরার পথে আচমকাই গ্রামে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে রাজ্য সফরে এসে আদিবাসী-বাউলের ঘরে খাবার খেয়েছিলেন অমিত শাহ, যা নিয়ে তাঁকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বোলপুর থেকে ফেরার সময় বুধবার বীরভূমের সরকারডাঙা ও বল্লভপুরডাঙা গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে কাছে পেয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ বেশ খুশি। আবার মুখ্যমন্ত্রী ফিরতেই অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। এনিয়ে যথারীতি শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজাও। মুখ্যমন্ত্রীর পা রাখা আদিবাসী অধ্যুষিত  দু’টি গ্রাম রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে।

বর্তমানে এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে। কিন্তু, গত লোকসভা ভোটে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বল্লভপুর বুথে ১৬৩ ভোটে এগিয়ে ছিল তারা। সেই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া নিয়ে সুর চড়িয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক   কৈলাস বিজয়বর্গীয় মমতার নাটক সবাই জেনে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেন।

এর আগে বোলপুরে এসে বাসুদেব দাস বাউলের বাড়িতে খাবার খেয়েছিলেন শাহ। কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কোনও কথা বলতে পারেননি বলে জানিয়ে বাসুদেব দাস বলেন,  কিছু চাইনি সেই অর্থে বলতেও পারিনি, এতটাই ব্যস্ত ছিলেন, কথা বলা হল না! আদিবাসী, তফশিলিদের বাড়িতে বিজেপি নেতাদের খাওয়া নিয়ে, মঙ্গলবার কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন মমতাও। বলেছিলেন, প্রতি সপ্তাহে একবার চায়ের সাথে ফাইভ স্টারের খাবার। দেখাচ্ছে আদিবাসী বাড়ির খাবার। আদিবাসীদের অপমান করার অধিকার তোমাদের নেই! এর আগে বাঁকুড়া সফরে এসে আদিবাসী পরিবারের ঘরে খাবার খেয়েছিলেন  শাহ। কিছুদিন পর বাঁকুড়া সফরে গিয়ে একটি গ্রামে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। খাটিয়ায় বসে কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে।  সেবারও দুই হেভিওয়েটের বাঁকুড়া সফর ঘিরে তুঙ্গে উঠেছিল তৃণমূল-বিজেপির তরজা। এবার তার পুনরাবৃত্তি হল বীরভূমে, যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম।