পাটনা:  সমালোচনা (criticism) করতে গিয়ে নীতীশ কুমারকে (nitish kumar) ব্যক্তিগত আক্রমণের অভিযোগ উঠল বিজেপির (BJP) জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের (Kailash Vijayvargiya) বিরুদ্ধে।


কী বললেন বিজেপি নেতা?
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধানকে বিদেশি মহিলাদের সঙ্গে তুলনা করেছেন কৈলাস, দাবি সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের। তবে তাঁর বক্তব্যের মধ্যে রাজনৈতিক সমালোচনার থেকে কু-কথার ছাপ স্পষ্ট, মনে করছেন অনেকে। ইন্দোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথার ফাঁকেই বিহারের সাম্প্রতিক সরকার-বদল নিয়ে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিক্রিয়া, 'আমি যখন বিদেশে গিয়েছিলাম তখন এক জন বলেছিলেন, সেখানকার মহিলারা যে কোনও মুহূর্তে নিজেদের প্রেমিক বদলে ফেলেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও অনেকটা এক রকম। কখন কার হাত ধরবেন, কখন কার হাত ছাড়বেন, কেউ জানে না।' বলা বাহুল্য, দিন দুয়েক আগেও বিজেপি শিবিরের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন নীতীশ। 


সুশীল মোদীর আক্রমণ...
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন নীতীশ ও লালু। সেই নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদীর অভিযোগ করেছিলেন, মন্ত্রিসভার ৩৩ শতাংশ দুটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, যাদব ও মুসলিমদের নিয়েই এই মন্তব্য করেন সুশীল মোদী। নতুন মন্ত্রিসভায় জেডি(ইউ) এবং কংগ্রেস-সহ সব দল মিলিয়ে এই দুই সম্প্রদায়ের ১৩ জন সদস্য রয়েছেন। সেই নিয়েই কি কটাক্ষ? জল্পনা তুঙ্গে। প্রাক্কন উপমুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, এবার তেলি এবং তথাকথিত উচ্চবর্ণের কায়স্থদের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই মন্ত্রিসভায়। ক্যাবিনেটে যে রাজপুত জনপ্রতিনিধির সংখ্যা কমেছে, সেটাও উঠে আসে এদিনের কটাক্ষে। তিনি বলেন, 'এই ধরনের সামাজিক বৈষম্য তুলে ধরার ও ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তদের মন্ত্রিসভায় আনার পিছনে নীতীশ কুমারজি-র কী বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেটা বুঝতে পারছি না।'


নতুন মন্ত্রিসভায় কারা?
মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের ফলে যাঁরা নতুন করে দায়িত্ব পেলেন, তাঁদের বেশিরভাগই আরজেডি-র। সংখ্যার হিসেব বলতে গেলে লালুপ্রসাদ যাদবের দলের তরফে ১৬ জন মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন, জেডি(ইউ)-র সদস্যদের মধ্যে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন এমন সংখ্যাটা ১১। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র দফতর নিজের হাতে রেখেছেন নীতীশ কুমার। অন্য দিকে, উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। তবে সে সঙ্গেই, স্বাস্থ্য, নগরোন্নয়ন, সড়ক নির্মাণ-সহ একগুচ্ছ দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছে তাঁকে। বিহারের নতুন পরিবেশ মন্ত্রী হয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদবের আর এক ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। কংগ্রেসের দুজনকেও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। জিতনরাম মানজির দলের এক জনকেও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন একমাত্র নির্দল বিধায়ক সুমিত কুমার সিংহ-ও। উল্লেখ্য, চলতি মাসের গোড়াতেই বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে আরজেডি-কে পাশে নিয়ে নতুন সরকার গড়ার রাস্তা খোলেন নীতীশ কুমার। গত ১০ অগাস্ট-ই শপথ নিয়েছেন নীতীশ ও তেজস্বী।
এবার শপথপাঠ করলেন বাকিরা যা নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির। প্রতিক্রিয়া দেবে কি চাচা-ভাতিজার সরকার?


আরও পড়ুন:মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্রত্যাগ, সস্ত্রীক আত্মসমর্পণ KLO নেতা কৈলাসের