অসম : কামাখ্যা মন্দির ( Kamakhya Devi Temple )। অন্যতম সতীপীঠ ()Sati Pith । মায়ের আরাধনায় এখানে ভিড় সারাবছর। তবে কালীপুজো আর অম্বুবাচীতে কামাখ্যার রূপই আলাদা। হাজারো ভক্তের ঢল। এই মন্দিরে প্রতিদিনই হয় কুমারী পুজো। কালীপুজোর পরদিনও হয় কুমারী পুজো। অমাবস্যায় কালীপুজোর পর প্রতিপদে ৫১ কুমারীর পুজো করা হয় এখানে। আর এরা প্রত্যেকেই স্থানীয় বাসিন্দা।  পুরোহিতদের বিশ্বাস, এখানে কুমারী হিসেবে পূজিত হলে সেই সংসারে সমৃদ্ধি আসে। অর্থনৈতিক সঙ্কট থাকে না। বিশ্বাস, এখানে তন্ত্রসাধনায় বিশেষ সুফল পাওয়া যায়।                                  


সতীর যোনি পড়েছিল নীলাচল পাহাড়ে                     


কথিত আছে, যিনি একবার এখানে আসেন, তিনি বারবার আসেন। ১৬৬৫ সালে কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণ নীলাচল পাহাড়ের কোলে এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। ৫১ পীঠের অন্যতম পীঠ। মা এখানে দশমহাবিদ্যা রূপে পূজিত হন। বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে ৫১টি টুকরো হয়ে যাওয়া সতীর দেহ অংশ যেখানে যেখানে পড়েছিল সেখানেই গড়ে উঠেছে সতীপীঠ। যেমন, সতীর গর্ভ এবং যোনি পড়েছিল নীলাচল পাহাড়ের কোলে কামাখ্যায়। তাই দেবী কামাখ্যাকে উর্বরতার দেবী হিসেবেও পুজো করা হয়। ‘কামেশ্বরীং যোনিরূপাং মহামায়াং জগন্ময়ীম’ তন্ত্রে কামাখ্যা মন্দির তৈরি নিয়েও নানা মত আছে। 


শিব ও দুর্গার একসঙ্গে অবস্থান কামাখ্যায়                 


পুরোহিতদের বিশ্বাস, এই পীঠে শিব ও দুর্গা একসঙ্গে অবস্থান করেন। শিব একবার দেবী পার্বতীকে বলেছিলেন, আমার দৃষ্টি সব শিবলিঙ্গের উপরই থাকবে, তবে আমি কামাখ্যাতেই তোমার সঙ্গে অবস্থান করব। তাই এই মন্দির ঘিরে মানুষের আস্থাই আলাদা। 



 


কামাখ্যা মন্দিরে পুজো উপলক্ষ্য রাত পর্যন্ত মহাযজ্ঞের আয়োজন হয়। মন্দিরের মধ্যে ১০ নামী আখড়ায় প্রথা মেনে যজ্ঞের হয়। কথিত আছে বশিষ্ঠ মুনি এক সময় এই কামাখ্যাতে যজ্ঞ করেছিলেন।  


আরও পড়ুন :


এই শুভকাজটি করতে পারেন আজ, দিনের ভাল-খারাপ সময় কখন ?


এবছর সোমবার বেলা পর্যন্ত থাকছে অমাবস্যা। কলকাতা থেকে জেলা, বিভিন্ন জায়গায় সোমবারও তাই চলে কালীপুজো। ঠনঠনিয়া কালী মন্দির থেকে ফিরিঙ্গি কালী, তারাপীঠ থেকে কামাখ্যা, সব জায়গাতেই ছিল ভক্তদের ভিড়।