নয়া দিল্লি: হিন্দু ধর্ম অনুসারে বিষ্ণুর দশ অবতারের মধ্যে শেষ অবতার হলেন কল্কি (Kalki)। কলিযুগে পাপের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে কল্কি অবতাররূপে জন্ম নেওয়ার কথা বিষ্ণুর (Lord Vishnu)। উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলায় সেই কল্কি ধামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ১৯ ফেব্রুয়ারি এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন হবে।                                                             


কেন অনন্য কল্কি ধাম



কল্কি ধামকে বিশ্বের সবচেয়ে অনন্য মন্দির বলা হচ্ছে এবং এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। 


কল্কি ধাম হল প্রথম ধাম যেখানে তাঁর অবতারকে ঈশ্বররূপে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। 


এই মন্দিরে একটি নয়, ১০টি গর্ভগৃহ থাকবে। ভগবান বিষ্ণুর ১০টি অবতারের ১০টি ভিন্ন গর্ভগৃহ স্থাপন করা হবে।


মন্দির নির্মাণের বৈশিষ্ট্য


এই মন্দিরটি একই গোলাপী রঙের পাথর দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে যেখান থেকে সোমনাথ মন্দির এবং অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, এই মন্দিরে ইস্পাত বা লোহা ব্যবহার করা হবে না।


মন্দিরের চূড়া হবে ১০৮ ফুট উঁচু। মন্দিরের মঞ্চ তৈরি হবে ১১ ফুট উপরে। এখানে গড়ে উঠবে ৬৮টি তীর্থস্থান।


মন্দিরটি আনুমানিক ৫ একর জমিতে নির্মিত হবে এবং এটি নির্মাণে প্রায় ৫ বছর সময় লাগতে পারে। 


এই মন্দিরটি নির্মাণের দিক থেকে বিশাল হবে এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও হবে ঐশ্বরিক, এমনটাই মত। 


পুরোদমে চলছে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি 


১৯ ফেব্রুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে উত্তরপ্রদেশের এই জেলায়। সাদা ও কমলা রঙে সাজানো হচ্ছে পুরো মন্দির চত্বর। প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য মূল মঞ্চের ঠিক পেছনে একটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। গোটা কমপ্লেক্সকে নিরাপত্তার আওতায় নিয়েছে এসপিজি।  


মূল মঞ্চের ঠিক সামনে, ভিভিআইপি অতিথিদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তারপরে ভিআইপি অতিথিরা এবং তারপরে অন্যান্য অতিথিরা। একই সঙ্গে দেশ-বিদেশ থেকে আগত সাধু-ঋষিদের জন্য তাঁবুর নগরী কল্কিপুরমে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রায় ১১ হাজার সাধু-ঋষি অংশ নেবেন বলে খবর। 


আরও পড়ুন, জেগে উঠবে শনি, ভাগ্যেও বড়ঠাকুরের নজরে অর্থের বান