রাজ্যের প্রতিনিধি মোদি নন, মমতা স্থির করবেন, রিভিউ বৈঠক নিয়ে রাজনাথকে নিশানা কল্যাণের

কলাইকুণ্ডায় রিভিউ বৈঠকে না থাকলেও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাতে, তুলে দেন রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট। মুখ্যমন্ত্রীর রিভিউ মিটিংয়ে যোগ দেওয়া না নিয়ে ফের রাজ্য রাজনীতিতে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে।

Continues below advertisement

কলকাতা: ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিয়ে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির   বৈঠকে থাকলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  কলাইকুণ্ডায় রিভিউ বৈঠকে না থাকলেও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাতে, তুলে দেন রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট। মুখ্যমন্ত্রীর রিভিউ মিটিংয়ে যোগ দেওয়া না নিয়ে ফের রাজ্য রাজনীতিতে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর না থাকা নিয়ে ট্যুইট শানিয়ে রাজ্যপাল বলেছেন,রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের পক্ষে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ একদমই স্বাস্থ্যকর নয়। মুখ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকদের বৈঠকে যোগ না নেওয়ার ঘটনা আইন এবং সংবিধানিক শাসন ব্যবস্থার পক্ষে বেমানান।

Continues below advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ট্যুইটে বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের ঘটনাক্রম হতবাক করে দেওয়ার মতো। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যক্তি নন, সংস্থা। সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতার শপথ নিয়ে তাঁরা দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এদিন পাল্টা রাজনাথকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ট্যুইট, প্রশাসনিক রিভিউ মিটিংয়ে আপনার সরকার, বিরোধী নেতাদের আলোচনার জন্য ডেকেছিল। রাজ্যের হয়ে কে প্রতিনিধিত্ব করবেন তা স্থির করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদি নন। রাজনাথ সিং, মানের অবনতি হচ্ছে।

এর আগে জগদীপ ধনকড়কে উদ্দেশ্য করে ট্যুইট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছিলেন, জগদীপ ধনকড়, আপনি আমাকে বলতে পারেন, কোন নিয়ম অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক উপস্থিত থাকতে পারেন? এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি করা বন্ধ করুন।

তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছেন। রাজ্যপালের কোন কাজ নেই ওনার চিকিৎসার প্রয়োজন। বিজেপির হয়ে কাজ করছেন।

এরপর ট্যুইট করে আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,আজকের দিনটা ভারতের দীর্ঘদিনের সহযোগিতামূলক গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে একটা অন্ধকারময় দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন, তিনি বাংলার মানুষের দুঃখ-কষ্টের প্রতি সম্পূর্ণভাবে অসংবেদনশীল। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক এনডিএ বিরোধী দল পরিচালিত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা কেউ মমতা দিদির মতো আচরণ করেননি। রাজনীতি ও প্রশাসন পরিচালনা....দু’টো করার জন্য আলাদা আলাদা সময় আছে। দিদি সেটা বোঝেন না।

মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতির সমালোচনা করে ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মমতা দিদি একটি দুর্ভাগ্যজনক কাজ করেছেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বহু সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সাহায্য করাই কর্তব্য। কিন্তু, দুঃখের বিষয় হল, মানুষের সেবার পরিবর্তে নিজের দম্ভকেই প্রধান্য দিলেন দিদি। আজকের ঘটনা থেকে সেটাই প্রমাণিত।

মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে, একের পর এক ট্যুইট করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা,পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান,বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর মতো বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা।যা নিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।এরপর এদিন রাজনাথকে নিশানা করলেন কল্যাণ।

 

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola