মুম্বই: ‘মুম্বই যেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর’, মন্তব্যের জেরে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সংঘাত চরমে কঙ্গনা রানাউতের। তার মধ্যেই বুধবার মুম্বইয়ের বলিউড অভিনেত্রীর দপ্তরে বৃহন্মুম্বই পুরসভার (বিএমসি) ভাঙচুর অভিযানের জেরে প্রবল শোরগোল হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে বর্তমানে সরকার চালাচ্ছে শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপির জোট। কিন্তু সরকারের শরিক হওয়া সত্ত্বেও এনসিপি সভাপতি শারদ পওয়ারের অভিমত, কঙ্গনার সম্পত্তিতে ভাঙচুর চালিয়ে তাঁকে ‘অযাচিত ভাবে পাবলিসিটি’র সুযোগ করে দিল বিএমসি। পুরসভা ‘নিয়ম মেনে’ কাজ করলেও যে সময়ে ভাঙচুরটা করল, তাতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা গেল বলে মনে করেন পওয়ার। বলেন, মুম্বইয়ে অবৈধ নির্মাণ নতুন নয়। কিন্তু চলতি বিতর্কের প্রেক্ষাপটে তার অবৈধ নির্মাণ রুখতে পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে অনেক প্রশ্ন উঠছে। যদিও বিএমসি নিজস্ব যুক্তি, নিয়ম-নীতি অনুসারেই পদক্ষেপ করেছে। পাশাপাশি প্রবীণ রাজনীতিক মিডিয়া কভারেজেও আপত্তি করেন। বলেন, মিডিয়া বিষয়টা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলেছে। এসব আমাদের উপেক্ষা করাই উচিত।
আজ সকালে প্রবল উত্তেজনার মধ্য়েই পুরসভার লোকজন মুম্বইয়ের পালি হিলে কঙ্গনার অফিসে বুলডোজার চালিয়ে তার কাঠামোর কিছুটা ভেঙে দেয়। তাদের দাবি, কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি না নিয়ে অংশটি নির্মিত হয়েছে। বিএমসি অভিনেত্রীর দপ্তরে ১৪টি নিয়ম লঙ্ঘনের তালিকা দিয়েছে, যার মধ্যে আছে একটি শৌচাগার, যেটি সম্ভবত তৈরি হয়েছে রান্নাঘরের জন্য বরাদ্দ হওয়া জায়গায়, আর শৌচাগারের জন্য় বরাদ্দ জায়গায় হয়েছে একটি অফিস। কঙ্গনা ‘২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে’ প্রয়োজনীয় নথি পেশ করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকর। যদিও বিএমসি-র পদক্ষেপে নানা প্রশ্ন উঠেছে, যেমন, বেশ কয়েক মাস তিনি মুম্বইয়ের বাইরে ছিলেন বলে তাঁকে কি পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছিল বা এর আগে তাহলে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কঙ্গনা গত সপ্তাহেই মুম্বই ফেরার দিন ঘোষণা করেন, তাই কেন তখনই বিএমসি অভিযান চালাল, সেই প্রশ্নও উঠেছে। কঙ্গনা অবশ্য় নিজের ট্য়ুইটার হ্য়ান্ডলে বিএমসি-র অভিযানের ছবি শেয়ার করে বিএমসি পরিচালনাকারী শিবসেনার সঙ্গে বিরোধের জেরেই তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। ক্যাপশন দিয়েছেন, পাকিস্তান এবং বাবর ও তার বাহিনী।
যদিও ক্যুইন অভিনেত্রীর আইনজীবীরা বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালত বিএমসির ভাঙচুর অভিযানে স্থগিতাদেশ জারি করে।
.