মুম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে যশরাজ ফিল্মসের চুক্তি টুইটারে পোস্ট করেছেন শেখর কপূর। সেটি রিটুইট করেছে কঙ্গনা রানাওয়াতের টিম। তাতে কঙ্গনা লিখেছেন, সফল বলিউডি পরিচালকরা এখন ছবি পরিচালনা বন্ধ করে দিয়েছেন, তাঁরা শুধু ট্যালেন্ট এজেন্সি চালান। যাঁরা তাঁদের কথামত চলতে অরাজি হয়, নির্মমভাবে পিষে ফেলা হয় তাদের।


কঙ্গনা লিখেছেন, কর্ণ জোহর, আদিত্য চোপড়ার মত সফল পরিচালকরা পরিচালনা ছেড়ে দিয়েছেন, তাঁরা এখন ট্যালেন্ট এজেন্সি নিয়ে ব্যস্ত। বলিউড এখন নির্মম, নোংরা জায়গা, এঁরা শুধু নিজেদের লোককে সুযোগ দেন, অন্য প্রতিভাদের শেষ করে ফেলেন। যারা তাঁদের চুক্তিমত চলতে চায় না, তাদের পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করে ফেলেন।


বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সুশান্তের সঙ্গে আদিত্যর যশরাজ ফিল্মসের ৩টি ছবির চুক্তি হয়। প্রথম ছবির জন্য তাঁর ৩০ লাখ টাকা পাওয়ার কথা ছিল, প্রথমটি যদি হিট হয়, তবে দ্বিতীয়টির জন্য পাওয়ার কথা ছিল ৬০ লাখ টাকা। যদি প্রথম ছবি ভাল না চলে, তবে দ্বিতীয়টির জন্যও তিনি ৩০ লাখ টাকা পাবেন। যদি প্রথম, দ্বিতীয় দুটোই ভাল চলে, তবে তৃতীয়টির জন্য পাবেন ১ কোটি। যদি প্রথমটি হিট করে, দ্বিতীয়টি ফ্লপ, তবে তৃতীয়ের জন্য পাবেন ৩০ লাখ। আর যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ প্রথমটি ফ্লপ করে, দ্বিতীয়টি হিট, তাহলে তৃতীয়ের জন্য তিনি পাবেন ৬০ লাখ টাকা। আর চুক্তিতে স্পষ্ট লেখা ছিল, ছবি হিট হল না ফ্লপ, সেটা প্রযোজনা সংস্থা ঠিক করবে।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ছবি ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী-র জন্যই সুশান্তকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিল যশরাজ। যদিও প্রথম ছবি শুদ্ধ দেশি রোমান্স হিট করায় ব্যোমকেশ-এর জন্য তাঁর পাওয়ার কথা ছিল ৬০ লাখ টাকা। আবার যশরাজের সঙ্গে সুশান্তের তৃতীয় ছবি পানি হয়ইনি। এ নিয়ে সুশান্ত ক্ষুব্ধ ছিলেন। যশরাজ কর্মীদের মুম্বই পুলিশ ৬০ লাখের বদলে ১ কোটি টাকা দেওয়ার বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তাঁরা সদুত্তর দিতে পারেননি।