চণ্ডীগড়: মাঝে উঠেছিল ব্লু হোয়েল, এখন হয়েছে পাবজি। হাতে হাতে মোবাইল, সক্কলে পাবজি খেলছে। আর নেশা ধরে যাওয়া এই গেমের চক্করে পড়ে ১৬ লাখ টাকা খোওয়ালেন পঞ্জাবের এক দম্পতি। তাঁদের ১৭ বছরের পুত্রটি পাবজির জন্য অ্যাপ কেনাকাটা ও তা আপগ্রেড করার পিছনে ওই টাকা উড়িয়ে দিয়েছে।


প্লেয়ারআননোনস ব্যাটলগ্রাউন্ড বা পাবজি। এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার জন্য তিনটে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বাবা মায়ের ১৬ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে ওই কিশোর। মেকিং ইন অ্যাপ কিনেছে সে টাকায়, তারপর টিমমেটদের জন্যও আপগ্রেডেশনের ব্যবস্থা করেছে। সারাক্ষণ মায়ের মোবাইল হাতে বসে থাকতে দেখে মা কিছু জিজ্ঞেস করলে সে বলত, অনলাইনে পড়াশোনা করছে। জানা গিয়েছে, আসলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাবজি খেলত মোবাইলে।  এতেই শেষ নয়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দেওয়ার পর সে সম্পর্কিত সমস্ত মেসেজ মোবাইল থেকে মুছে দেয় সে।

ছেলেটির বাবা সরকারি চাকুরে, কর্মসূত্রে পরিবারের কাছে থাকেন না। তিনি জানিয়েছেন, ওই টাকা তিনি বাঁচিয়েছিলেন ছেলের উচ্চশিক্ষার জন্য এবং ভবিষ্যতে চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচের কথা ভেবে। ধরা না পড়ার জন্য তাঁর ছেলে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা ট্রান্সফার করত বলে জানা গিয়েছে। এই টাকা উদ্ধারের জন্য পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, কারণ তা খরচ করা হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে। রক্ত জল করে জমানো টাকা ছেলে এইভাবে উড়িয়ে দেওয়ায় রেগে আগুন বাবা তাকে একটি স্কুটার সারানোর দোকানে কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এত কিছুর পরেও ও চোখের সামনে ঘরে বসে সময় কাটাবে এটা তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না, লেখাপড়ার জন্য আর একটা মোবাইলও কিনে দিতে পারবেন না ছেলেকে। তাই তাকে দোকানে কাজকর্মের জন্য লাগিয়েছেন যাতে ও বুঝতে পারে টাকা রোজগার করতে কতটা ঘাম ঝরাতে হয়।

অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও পাবজি নিয়ে বিতর্ক কম নয়। অসম্ভব নেশা ধরানো এই গেম বন্ধ করার জন্য বহুবার দাবি উঠেছে। কিন্তু এখনও রমরমিয়ে চলছে পাবজি খেলা।