পটনা: বিহারে কি ভোটের প্রচারে কঙ্গনা রানাউতকে নামাচ্ছে বিজেপি? এহেন জল্পনা খারিজ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশ। বিহারে বিজেপি তাঁকে দলের পুরো প্রচার সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছে। শাসক জেডি (ইউ)-বিজেপি জোটের প্রচারে বলিউড অভিনেত্রীকে সামিল করার সম্ভাবনা উড়িয়ে তিনি বলেছেন, নরেন্র্জ মোদি থাকতে আমাদের কোনও তারকার প্রয়োজন হয় না। উনি বিজেপির সবচেয়ে বড় স্টার, দেশের সুপারস্টার। ওনার জন্য দেশে আমরা জিতেছি, সব জায়গায়ই জিতব। সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। কাটিহারে বিজেপির প্রচারে এসেছিলেন ফঢ়নবিশ।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি কঙ্গনার ব্যাপারে সাবধানে পা ফেলছে। মুম্বইকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা টেনে প্রবল বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। শিবসেনার সঙ্গে বাকযুদ্ধ চলছে তাঁর। গত সপ্তাহে শিবসেনা পরিচালিত বৃহন্মুম্বই পুরসভা কঙ্গনার অফিসের একাংশ বেআইনি অদলবদলের অভিযোগে ভেঙে দিলে ফঢ়়নবিশ তার নিন্দা করেন, কিন্তু একইসঙ্গে মুম্বই সম্পর্কে কঙ্গনার মন্তব্য সমর্থন করেন না বলেও জানান। বলেন, দাউদের বাড়ি তো ভাঙতে যান না, কিন্তু অভিনেত্রীর বাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে চান। মহারাষ্ট্র সরকার ভাবছে, করোনাভাইরাস নয়, লড়াই হচ্ছে কঙ্গনার সঙ্গে।
মহারাষ্ট্র পুলিশ, প্রশাসন যেভাবে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত করছে, তার সমালোচনা করায় শিবসেনা রুষ্ট হওয়ার পরই কঙ্গনা মুম্বইয়ে নিরাপদ বোধ করেন না, বোঝাতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে তুলনা করেন।
তবে সুশান্তের মৃত্যুকে বিহারে বিজেপি প্রচারের ইস্যু করেছে। বিহারে ভূমিষ্ঠ অভিনেতার জন্য ‘ন্যয়বিচার’ আদায় করতে বিজেপি কী করছে, তা জানিয়ে পোস্টার বের করা হয়েছে। সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করছে সিবিআই। আর সেই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন বিজেপির জোটসঙ্গী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, যাতে সিলমোহর দেয় সুপ্রিম কোর্ট।