ছোটবেলার বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন কঙ্গনা। তাতে তাঁদের সেই দত্তক নেওয়া দিদিও রয়েছেন। কঙ্গনা লিখেছেন, প্রিয় বন্ধুরা, দলিতদের ওপর নির্যাতনের খবরে আজকাল অনেকে আমায় ট্যাগ করছেন, যাঁরা বেশি চালাক, শুধু খবরের মাধ্যমেই ভারতকে চেনেন, আধুনিক ভারতের সঙ্গে আমার পরিচয়কে বিদ্রূপ করেন, তাঁদের জন্য আমার জীবনের কথা আজ শেয়ার করছি। ছবির এই কনে হল আমার বোন রাজুদি। মায়ের তখন সদ্য বিয়ে হয়েছিল, মনসা নামে গ্রামের এক দলিত মহিলার কষ্টে বিগলিত হয়েছিলেন তিনি। মনসার তিন কন্যা ছিল কিন্তু কোনও উপার্জন ছিল না। শ্বশুর শাশুড়ির ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে মা তাঁর সব থেকে ছোট মেয়েটিকে দত্তক নেন, নাম দেন রাজকুমারী। স্কুলে পাঠান, তারপর কলেজে। মা রাজুদির বিয়েও দিয়েছেন, আর এই সপ্তাহে তাঁর ছেলের বিয়ে হয়েছে এক ব্রাহ্মণ কন্যার সঙ্গে। এসব কোনও খবরে দেখানো হবে না, কঙ্গনা লিখেছেন।
তিনি আরও লিখেছেন, দলিতদের ওপর যে সব অত্যাচারের ঘটনায় আপনারা আমায় ট্যাগ করেন, সে ব্যাপারে অভিজ্ঞতা আমার নেই। কিন্তু আমি মায়ের কাছ থেকে যে আধুনিক ভারতকে পেয়েছি, তার কথা বললে আপনারা আমায় মিথ্যেবাদী বলেন কেন? যাই হোক, এই ছেলেমেয়েদের এক সঙ্গে কী সুন্দর লাগছে, এদের আশীর্বাদ করুন।
কঙ্গনা জানিয়েছেন, রাজুদিকে দত্তক নেওয়ার জন্য আত্মীয়রা তাঁর মায়ের নিন্দায় মুখর হয়েছিলেন। প্রথম প্রথম রাজুদি রান্নায় সাহায্য করত, তারপর কঙ্গনাদের ঠাকুমার আপত্তিতে তাঁকে আর খাবার পরিবেশন করতে দেওয়া হত না। বড় বোন রঙ্গোলিকে তিনি কখনও দিদি বলেননি কিন্তু বাবা বলে দিয়েছিলেন, রাজুদিকে দিদি বলে ডাকতেই হবে। এই ভারতকেই চেনেন তিনি।
অল্পদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগ দিয়েছেন কঙ্গনা। তাঁর টিমের টুইটার হ্যান্ডল থেকে এখন নিজেই টুইট করেন তিনি। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর বিচারের দাবিতে যে সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেন হয়, তা দেখে এই মাধ্যমের গুরুত্ব বুঝেছেন, তাই এতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।