কলকাতা: কাঁকুড়গাছিতে স্ত্রী-শাশুড়িকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় নতুন তথ্য।


তদন্তে জানা যায়, বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন করে সোমবার বিকেল ৩টে ৫৬ মিনিটে ছেলেকে নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন অমিত অগ্রবাল। বন্ধুকে মেসেজ করে ডেকে পাঠান বিমানবন্দরে। অনুরোধ করেন, ছেলেকে বেলঘরিয়ায় দাদা প্রদীপ অগ্রবালের বাড়িতে পৌঁছে দিতে। বন্ধু তাঁকেও সেখানে যেতে বলায়, অমিত জানান, তাঁর সেক্টর ফাইভে কাজ রয়েছে।


এরপর প্রি-পেড ট্যাক্সি বুথ থেকে ক্যাবে চড়ে বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে কাঁকুড়গাছির সিটিসি বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছন অমিত। অমিতের শ্বশুরবাড়ি থেকে এই বাস স্ট্যান্ডের দূরত্ব মাত্র ৫০ মিটার। গোয়েন্দাদের অনুমান, পরিচিত লোকজন এড়াতেই অমিতের বাস স্ট্যান্ডে নেমে পড়ার সিদ্ধান্ত।


তদন্তকারীদের অনুমান, বাস স্ট্যান্ড থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে, কারোর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি নেন অমিত। এরপর সন্ধে ৬টা নাগাদ শ্বশুরবাড়িতে ঢোকেন। তাঁকে প্রথমে আপ্যায়নও করেছিলেন শ্বশুর-শাশুড়ি। বসানো হয় একটি ঘরে। সেখানেই শাশুড়ির সঙ্গে বিবাদে জড়ান অমিত।


এরপরই ল্যাপটপ ব্যাগ থেকে আগ্নেয়স্ত্র বের করে গুলি চালান। দরজায় লেগে প্রথম গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয় গুলিটি শাশুড়ির মাথায় লাগে। তৃতীয় গুলি নিজের মাথায়। অমিতের মোবাইলের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে অস্ত্র সরবরাহকারীর সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিটিসি বাস স্ট্যান্ডের সিসিটিভি ফুটেজ।


তদন্তকারীরা নিশ্চিত, ল্যাপটপ ব্যাগপ্যাকে করেই সরবরাহ করা হয়েছিল সেভেন এমএম পিস্তল এবং ১২টি গুলি ভর্তি দুটি ম্যাগাজিন।


৬৭ পাতার সুইসাইড নোট পড়ে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, স্ত্রী শিল্পী সহ শ্বশুরবাড়ির গোটা পরিবারকে শেষ করতে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করার কথাও ভেবেছিলেন অমিত। সেই জন্য বিহার, তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্যে গিয়ে ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। যদিও শেষপর্যন্ত নিজেই এই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।