নয়া দিল্লি : আসন্ন কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কোনও সম্ভাবনাই নেই। জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জনতা দল (সেকুলার) সুপ্রিমো এইচ ডি দেবগৌড়া। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, দল চাইছে নিজের ক্ষমতাবলে ভোটে জিততে।
দেব গৌড়া বলেন, "দুটি রাজনৈতিক দল এবং একটি আঞ্চলিক দল লড়াই লড়ছে। এটা খুবই কঠিন বোঝা যে কে জিতবে। বা, কারা সরকার গড়বে। তাই অনেকেই দাবি করতে পারে, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে চলেছে। কেউ কেউ আবার বলবে, নিরঙ্কুশ হতে চলেছে ফলাফল। আবার একই সময়ে এমন কয়েকটি সমীক্ষা বেরিয়েছে যাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের পক্ষে বলা হয়েছে। এইচ ডি কুমারস্বামী বড় নেতা।"
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর কর্ণাটকে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে জেডিএস। সেবার ৩৭টি আসনে জয়লাভ করেছিল জেডিএস। কংগ্রেস জিতেছিল ৭৮টি আসনে। সেকথা মাথায় রেখেই দেবগৌড়াকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ২০১৮ সালের মতোই কি এবারও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে তাঁর দল ? এ প্রসঙ্গে দেবগৌড়া স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিশাল ব্যবধানে নিজেদের ক্ষমতাবলেই তাঁদের দল জিতবে।
জোটের সরকারে নানা অসুবিধার কথাও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, "দুটি জাতীয় দলের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে। মানুষ তাদের সমর্থন করে। একটা আঞ্চলিক দলের পক্ষে সেটা কঠিন। ২০১৮ সালে গুলাম নবি আজাদ এবং অশোক গেহলৌত আমার কাছে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তার পর আমি জোটে সম্মতি জানাই। কুমারস্বামীও বলেন তিনি সব কর্মসূচি রূপায়ণ করতে চান। যার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সেই অর্থ তুলতে, যদি কোনও জোটের প্রয়োজন পড়ে, তাতে বাধা তৈরি হতে পারে। তাই আমাকে ১২৩টি আসন দিন। কুমারস্বামী এখন কোনও দলের সঙ্গে জোট করতে চান না। হ্যাঁ, আমি কখনোই রাহুল বা সনিয়া গান্ধীকে আক্রমণ করিনি। আমি প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করিনি। উনি প্রায় গত ১০ বছর ধরে রয়েছেন।"
তবে, কর্ণাটকে বিধানসভার ফলাফলের প্রভাব পড়বে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে, এমন কোনও যুক্তি তিনি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, "এটা পরের বছরের সাধারণ নির্বাচনে কোনও ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হবে বলে মনে করেন না তিনি। দেব গৌড়া বলেন, "২০২৪-এ লোকসভা ভোট রয়েছে। ভারত বিশাল একটা দেশ। আর কর্ণাটকে মেরেকেটে ২৮ জন সাংসদে থাকেন। তাই এটা কোনও কিছু ঠিক করার মতো ফ্যাক্টর হবে না।"
উল্লেখ্য, আগামী ১০ মে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। একদফায় হবে ভোট। ফলাফল বেরোবে ১৩ মে।
"