বেঙ্গালুরু: আর কদিন পরেই দক্ষিণের রাজ্য়টিতে শুরু হতে চলেছে মসনদের লড়়াই। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই চড়ছে পারদ। বিভিন্ন দলের হেভিওয়েট নেতারা আসছেন, প্রচারও করছেন। বুধবার কর্নাটকে (Karnataka Election 2023) প্রচারে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ। কর্নাটকের মান্ড্য জেলায় এদিন একটি সভা করেন যোগী (Yogi Adityanath)।  সেখান থেকে বিকেলে যান বিজয়পুরা জেলার বাসবেশ্বর মন্দিরে। পরে আরও একটি প্রচার সভায় যোগ দিয়েছেন তিনি। 


কী বললেন যোগী:
বরাবরই বিজেপির (BJP) তারকা প্রচারকের তালিকায় থাকেন যোগী আদিত্যনাথ। কর্মীদের তাতাতে তাঁর ভাষণের উপর বারবার ভরসা রেখেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির এই পোস্টার-বয় এবার কর্নাটকে পদ্ম ফোটানোর লড়াইয়ে এসেছেন। মান্ড্য জেলায় প্রচারসভায় বক্তব্য রাখার সময় তাঁর নিশানায় এসেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণের বিষয়ও। ধর্মপরিচয়ের ভিত্তিতে সংরক্ষণের প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে নিশানা করেন যোগী। তিনি বলেন, 'ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ ভারতীয় সংবিধানের পরিপন্থী।' তাঁর দাবি, বিজেপি এই পথে হাঁটে না। বরং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করেছে বিজেপি সরকার। তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি, শারীরিক দিক থেকে বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্যও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


 






দেশভাগের প্রসঙ্গও উঠে আসে যোগীর মুখে। তাঁর দাবি, ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল ভারত। এখন ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ হতে পারে না। ভারত আর কোনও বিভাজনের জন্য তৈরি নয় বলেও জানান তিনি। বিভিন্ন রাজ্যেই বিজেপির প্রচারে উঠে এসেছে ডবল ইঞ্জিন তত্ত্ব। কর্নাটকেও সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন যোগী। তাঁর দাবি, গত ৬ বছরে উত্তর প্রদেশে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। উত্তরপ্রদেশে ডবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে বলেই এমন সম্ভব হয়েছে বলে তাঁর দাবি। 


অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জাতি (Other Backward Classes) -এর অধীনে ২বি বিভাগে মুসলমানদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণের জায়গা ছিল। সাংবিধানিক বৈধতা নেই বলে  দাবি করে কর্নাটকের বিজেপি সরকার সেটি বাতিল করে দেয়। তার বদলে ২ শতাংশ করে বাড়িয়ে দেওয়া হয় ভোক্কালিগা এবং লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ। যার ফলে ভোক্কালিগাদের সংরক্ষণ এখন ৬ শতাংশ এবং লিঙ্গায়েতদের ৭ শতাংশ। এই প্রসঙ্গ তুলে যোগী বলেন, 'বিজেপি তোষণের রাজনীতি করে না। তাই এই কাজ করেছে।'


কর্নাটকের রাজনীতিতে ভোক্কালিগা এবং লিঙ্গায়েত এই দুই সম্প্রদায়ের প্রভাব যথেষ্ট বেশি। ভোটের দিক থেকেও তুমুল প্রভাব রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এই পদক্ষেপ করেছে বিজেপি।