ব্যাঙ্গালোর: সারা দেশে ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এরমধ্যে রাজ্যে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করলেন কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. কে সুধাকর। করোনাকে রুখতে তিনি সাধারণ মানুষের সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন।  তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। এখন এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের সকলকে হাত মেলাতে হবে। কারণ, আগামী দুই-তিন মাস এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
কর্ণাটকে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। এরইমধ্যে এই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের সুধাকর বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি এবং কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে  তিনি মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি বলেছেন, আমরা এখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে রয়েছি। এখন আমাদের সবাইকে একসঙ্গে চলতে হবে। কারণ, আগামী দুই-তিন মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
সুধাকর বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত রাজ্যের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি কমিটি সরকার সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে যে, নির্দিষ্ট কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মানুষের ভোগান্তির মুখে পড়তে পারেন। 
সুধাকর বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে সরকার ও সাধারণ মানুষ কর্ণপাত না করলে প্রতিফল নিয়ে আমাদের সবাইকেই দায়ী হতে হবে। 
যে সমস্ত ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হচ্ছে, তারমধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড রয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে সুধাকরের পাল্টা প্রশ্ন, করোনাভাইরাসের জন্য কোনও কাজই অজুহাত হতে পারে ? তা কি ভিআইপি, রাজনৈতিক দল বা ধর্মীয় সমাবেশকে রেহাই দেবে?
উল্লেখ্য, রাজ্যে উপনির্বাচন রয়েছে। এতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি যোগ দেবে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। 
গত শনিবার কর্ণাটকে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ১,৭৯৮। মৃতের সংখ্যা সাত। বেঙ্গালুরু শহর জেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,১৮৬। এখানে মৃতের সংখ্যা পাঁচ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা জারি করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লোকজনকে সতর্কতা অবলম্বনের আর্জি জানিয়েছেন।