নয়াদিল্লি: বেজে গেল কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের ডঙ্কা। বুধবার ঘোষণা করা হল দক্ষিণের রাজ্যটির নির্বাচনী নির্ঘণ্ট।

কবে ভোট:গেজেট নোটিফিকেশন দেওয়া হবে ১৩ এপ্রিল। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ এপ্রিলমনোনয়ন স্ক্রুটিনি হবে ২১ এপ্রিলমনোনয়ন পত্র তুলে নেওয়ার শেষ দিন ২৪ এপ্রিল

ভোট হবে ১০ মে। ভোটগণনা হবে ১৩ মে। ১৫ মের আগে নির্বাচন সংক্রান্ত সব কাজ শেষ  করতে হবে।

এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে কর্নাটকের নির্বাচন ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সারা রাজ্যে এক দফাতেই ভোট করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। 

সাংবাদিক সম্মেলনে কী বলা হয়েছে?নতুন ভোটার, মহিলা ভোটার, বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে।বয়স্ক ভোটারদের জন্য বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এবার ৯ লক্ষেরও বেশি নাগরিক প্রথমবার ভোট দেবেন।প্রায় ৫৩ হাজার পোলিং স্টেশন থাকছে রাজ্যে, তার মধ্যে ৫০ শতাংশ বুথে ওয়েবকাস্টিং থাকবে।২৪০টি মডেল পোলিং স্টেশন থাকবে গোটা রাজ্যে২২৪টি পোলিং স্টেশন সবচেয়ে কমবয়সী ভোটকর্মী দিয়ে চালানো হবে, যাবে কমবয়সীরা ভোটদানে উৎসাহিত হয়।ব়্যাম্প, হুইলচেয়ার, শৌচাগার, বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। cVigil app এবং PwD অ্যাপ ব্যবহার করা হবে। 

এখন কর্নাটকের মসনদে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এবার দ্বিতীয় দফাতেও কর্নাটকের বিধানসভা দখলে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। এখন কর্নাটকে বিরোধী আসনে রয়েছে কংগ্রেসে।

বর্তমান সরকারে ১১৯ জন বিধায়ক রয়েছে বিজেপির। কংগ্রেসের রয়েছে ৭৫ জন, জেডিএস-এর রয়েছে ২৮ জন। কর্নাটকে বিজেপিকে দুর্নীতির ইস্যুতে আক্রমণ করছে কংগ্রেস ও জেডিএস। উল্টোদিকে নানা ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা করছে বিজেপি। ইতিমধ্যে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ কর্নাটকে প্রচারে গিয়েছেন। সেখানে সভামঞ্চ থেকে নিশানা করেছে কংগ্রেসকে। 

সংরক্ষণ তরজা:নির্বাচনের আগে কর্নাটকে তরজা চলছে সংরক্ষণ নিয়ে। কর্নাটকে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণে এতদিন অন্তর্ভু্ক্ত ছিলেন রাজ্যের মুসলিম নাগরিকরা। কিন্তু সম্প্রতি কর্নাটক সরকার মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণ প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। রদবদলের পর ভোক্কালিগাদের জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। লিঙ্গায়তদের ক্ষেত্রেও ৫ থেকে সংরক্ষণের হার বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ। 

আরও পড়ুন: দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার পার! সক্রিয় রোগীর সংখ্যা গত ৫ মাসে সর্বোচ্চ