কলকাতা: চব্বিশের ভোটের আগে বড় ধাক্কা বিজেপির (BJP), কংগ্রেসের (Congress) হাতেই কর্ণাটক (Karnataka)। বিজেপিকে ধরাশায়ী করে কর্ণাটকে বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস । ২০১৮-র চেয়ে একধাক্কায় ৫৬টি আসন বাড়িয়ে ১৩৬টি আসনে জয়ী কংগ্রেস। কর্ণাটকের ভোটে বিজেপির একের পর এক হেভিওয়েটের হার।  


তবে দক্ষিণের এই রাজ্যে জনগণের রায়ের পর এদিন হাত-শিবিরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রি নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ট্যুইটয়ে মোদি লেখেন, 'কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য কংগ্রেস পার্টিকে অভিনন্দন। আশাকরি মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সফল হবে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, 'কঠোর পরিশ্রম করেছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।' কর্ণাটকের জন্য নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তাও দিয়েছেন মোদি। 


 






অন্যদিকে, কর্ণাটক জয়ের পর ভালোবাসার বার্তা রাহুল গান্ধীর। জয়ের পর তিনি বলেন, 'জয়ের জন্য কর্ণাটকের জনগণ ও দলের কর্মীদের ধন্যবাদ। কর্ণাটকে শাসক-ঘনিষ্ঠ পুঁজিপতিদের সঙ্গে গরিব মানুষের লড়াই ছিল। কংগ্রেস ছিল গরিব মানুষের সঙ্গে। আমরা ঘৃণার বিরুদ্ধে ভালোবাসার জন্য লড়াই করেছি। ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়ে ভালোবাসার দোকান খুলে গেল। ভালোবাসাই দেশকে ভাল রাখবে। ভোটে যে ৫ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই ৩টি পাস করাব', কর্ণাটকে ভোটে জিতে মন্তব্য রাহুল গান্ধীর।                          


অন্যদিকে, বিজেপিকে আক্রমণ করেও কংগ্রেসের নাম মুখে আনলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুমারস্বামীর প্রশংসা, রাহুলের নাম না এনে বিজেপিকে আক্রমণে মমতা। তিনি বলেন, ‘ঔদ্ধত্য, অহংকার, এজেন্সি-রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষ জবাব দিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির শেষের শুরু। চব্বিশের ভোটে বিজেপির হার নিশ্চিত। দেশকে বাঁচাতে পরিবর্তন জরুরি। বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও। ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশেও হারবে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব ভাল ফল করবে। সব জায়গায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। এজেন্সি দিয়ে সবাইকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় বিজেপি। প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করে বিজেপি। মানুষ এটা মেনে নেবে না। বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। যেখানে যে শক্তিশালী, সেখানে সেই দল লড়ুক। বিজেপিকে রুখতে একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলায় এগোতে হবে’,মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।