নয়াদিল্লি: সব জটিলতা কাটল। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসছেন সিদ্দারামাইয়া। উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাচ্ছেন ডিকে শিবকুমার। ফলপ্রকাশের পাঁচদিন পরে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে কংগ্রেস। শনিবার শপথগ্রহণ।


বিজেপির হাত থেকে কর্নাটক কেড়ে নিয়ে চমক দিয়েছে কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ জুটির রথ থেমেছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। আর এই জয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে দুটি নাম সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমার। সিদ্দারামাইয়ার তুলনায় অনেকটাই কমবয়সী শিবকুমার কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। তাঁর নেতৃত্বে দক্ষিণের এই রাজ্যে বিপুল জয় পেয়েছে কংগ্রেস। তারপর থেকেই কে মুখ্য়মন্ত্রী হবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছিল টানাপড়েন। দুই পক্ষের অনুগামীরাই মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুলে সেরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়েছিল। সূত্রের খবর, দুই পক্ষই চাইছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। 


তাহলে কি দুজনের মধ্যে মুখ্য়মন্ত্রিত্বের সময়কাল ভাগাভাগি হয়ে যাবে? সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমার দুজনেই একসঙ্গে কাজ করার জন্য কথা দিয়েছেন। 'দুজনে একসঙ্গে কাজ করে কর্নাটকের ভবিষ্যৎ এবং কর্নাটকবাসীর ভবিষ্যৎ উন্নত করবেন। সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ', এমনটাই ট্যুইট করেছেন ডিকে শিবকুমার। সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, 'আমাদের হাত সবসময়ে একসঙ্গে থাকবে কন্নড়দের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য, কংগ্রেস পরিবারের মতো কাজ করবে।'


 






সূত্রের খবর, দীর্ঘ আলোচনার পরে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদেই সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন ডিকে শিবকুমার। পাশাপাশি কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি থাকছেন তিনি। সূত্রের খবর, সনিয়া গাঁধীর মধ্যস্থতায় এই জটিলতা কেটেছে।


সূত্রের খবর, দিল্লিতে একাধিকবার বৈঠক হয়েছিল। সেখানে ডিকে শিবকুমারের কাছে ২টি অপশন রাখা হয়েছিল। কিন্তু তা নাকচ করে দেন শিবকুমার। সূত্রের খবর, সিদ্দারামাইয়া প্রথম ২ বছর এবং শিবকুমার পরের ৩ বছর মুখ্য়মন্ত্রী থাকবেন, এমনটাও কথা উঠেছিল। কিন্তু দুই নেতাই তা নাকচ করে দেন। তারপরে দফায় দফায় বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্তে আসে কংগ্রেস হাইকমান্ড।


এতে কি দু পক্ষই সন্তুষ্ট হবেন? নাকি পরে দেখা যাবে ক্ষোভের আগুন? বলবে সময়।


আরও পড়ুন: মোবাইল হারিয়েছে? এক ক্লিকেই ব্লক ফোন! খুঁজেও পাবে পুলিশ!