এ কী কাণ্ড ! কেউ বলছেন ছি ছি । কেউ আবার পোস্ট করছেন ধিক্কার দেওয়া কড়া মন্তব্য। এক শিক্ষক এবং তার এক ছাত্রের ছবি ঘিরে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। এক কথায় যাকে বলে  ভাইরাল ।


ছবিগুলি সামনে আসা মাত্রই নেটব্যবহারকারীরা কড়া সমালোচনা করেছেন। কমেন্টবক্স জুড়ে ঝরে পড়ছে নিন্দা ।  সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ডের দাবি এই ফটোগুলি তোলা হয় একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণ চলাকালীন।  জানা গিয়েছে, মুরুগামল্লার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের  শিক্ষিকার সঙ্গে তাঁর ছাত্রের ছবি এটি।  দশম শ্রেণির পড়ুয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গিয়েছে শিক্ষককে। শিক্ষক ছাত্রটিকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন এমন মুহূর্তও ফ্রেমবন্দি হয়েছে।  এমনকি তার থেকেও ঘনিষ্ঠ ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।  ছবির কোলাজটি পোস্ট করেছেন অমিত সিং রাজাওয়াত নামে এক ব্যক্তি। 


রাজাওয়াতের প্রশ্ন "সমাজ হিসাবে আমরা কোনদিকে এগোচ্ছি? কর্ণাটকের মুরুগামল্লা চিক্কাবাল্লাপুর জেলায় একটি সরকারি স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রের সঙ্গে একটি রোমান্টিক ফটোশুটের ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে" । তিনি আরও লেখেন, ছাত্রের অভিভাবকরা শিক্ষকের এই ধরনের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং এই নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ব্লক শিক্ষা অফিসারের (বিইও) কাছে । 


ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া এই ছবিগুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।  ই-মাধ্যম জুড়ে নানারকম মন্তব্যের ঝড় উঠেছে। নেট-ইউজারদের তরফে নানা কমেন্ট এসেছে। কেউ বলেছেন, "ছাত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সে নির্দোষ নয়।"। আবার একজন লিখেছেন, "শিক্ষক কার্যত তাঁর ছাত্রকে প্রেমের ভঙ্গিমার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন" । আরেকজনের প্রশ্ন, একজন ব্যবহারকারী আবার বলেছে,  "এতে কিছু ভুল নেই"। কেউ আবার বলেছেন, ''যদি পদক্ষেপ নিতে হয় উভয়কেই শাস্তি দেওয়া উচিত"।


অভিযোগ পাওয়ার পর, বিইও ভি উমাদেবী ওই স্কুল পরিদর্শন করেন। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। ডেকান হেরাল্ডকে তিনি জানান,  তিনি যথাযথ তদন্ত না করে কোনও মন্তব্য করবেন না। তবে মূল ঘটনা যাই হোক না কেন, ছবিগুলি যেভাবে তোলা হয়েছে, তাতে বিতর্ক একেবারে তুঙ্গে। ছাত্র-শিক্ষিকার মধ্যে এমন ঘনিষ্ঠতা কেন, তা ক্যামেরাবন্দিই বার করা হল কেন, উঠেছে প্রশ্ন। 

( Disclaimer: এই ভাইরাল ভিডিও বা ছবির সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি লাইভ বা এবিপি আনন্দ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঠা চর্চা ও অভিযোগের ভিত্তিতে লিখিত)