বেঙ্গালুরু : কোভিডের তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে শিশুদের। মহামারী বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে কর্ণাটক। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় আলাদা শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে দেশবাসীর। নতুন করে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় দিন গুণছে সবাই। মহামারী বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তৃতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি ক্ষতি করবে শিশুদের। কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রবীণ নাগরিক বা বয়স্করা। দ্বিতীয় ঢেউ ছাড়েনি যুব প্রজন্মকে। তবে চিকিসৎকদের ধারণা, এবার করোনার নিশানায় শিশুরা।


তবে কেন এই কথা ভাবছেন মহামারী বিশেষজ্ঞরা ? এর পিছনেও রয়েছে যুক্তি। তাঁদের অনুমান, প্রবীণ নাগরিকরা ভ্যাকসিন বা কোভিড যুদ্ধে জয়ী হওয়ায় দেহে অ্যান্টিবডি গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ১৮-৪৪ বয়সিদের ভ্যাকসিনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ১ মে থেকে শুরু হয়েছে সেই টিকাকরণ। ফলে যুব প্রজন্মের অনেকেরই দেহে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। তবে ভ্যাকসিন না নেওয়ায় সবথেকে দুর্বল ইউমিউনিটি এখন শিশুদের। তাই তাদের টার্গেট করতে সুবিধা হবে করোনার।


বেগতিক দেখে আগেভাগেই কর্ণাটকের সব জেলায় আলাদা শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের রাজস্ব মন্ত্রী আর অশোকা বলেন, ''এই বছরের শেষের দিকেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আাছড়ে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ভাইরাস অন্যদের সঙ্গে শিশুদের নিশানা করবে। তাই প্রতি জেলায় আলাদা শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজ্যের ৩১ জেলার কমিউনিটি সেন্টারকে শিশু হাসপাতালে বদলে দিতে তহবিল বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে।''


রাজ্যের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি বলছে, বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। যার জেরে অক্সিজেন ও বেডের চাহিদা বাড়ছে কর্ণাটকে। এ বিষয়ে আর অশোকা বলেন, ''আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। রাজ্যে এখন ১৯৭০টা অক্সিজেন বেড রয়েছে। ১৪৪৫ টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট রয়েছে কর্ণাটকে। এ ছাড়াও রাজ্যে রয়েছে ২০৫৯ টি ভেন্টিলেটর। কেবল কোভিড রোগীদের জন্য রয়েছে এই ব্যবস্থা। যা দ্রুত বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে কোভিড রোগীদের জন্য রাজ্যের ৩২টা জায়গায় অক্সিজেন ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে।''