Pahalgam Incident: পহেলগাঁওয়ে হিন্দু নিধনের পরও নির্লজ্জ পাকিস্তান। বিদেশের মাটিতেও নজির মিলল তাদের বেপরোয়া মনোভাবের। লন্ডনে পাক হাই কমিশনে দাঁড়িয়েই গলা কাটার ইঙ্গিত ! হাতে ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসার অভিনন্দন বর্তমানের ছবি নিয়ে গলা কেটে দেওয়ার অঙ্গভঙ্গি পাক সেনা অফিসারের। চরম নির্লজ্জতার ছবি এল তামাম বিশ্বের সামনে। বিতর্কের মুখে পাক সেনা অফিসার কর্নেল তৈমুর রাহাত। নিরীহ হিন্দু পর্যটকদের হত্যার পরেও চরম নির্লজ্জতার পরিচয় দিল পাকিস্তান। বিশ্বের সামনে বেআব্রু জঙ্গিদের প্রশ্রয়দাতা পাকিস্তানের আসল চেহারা। দুঃখপ্রকাশ দূরের কথা, উল্টে চরম অসভ্য আচরণ পাকিস্তানের।
দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পহেলগাঁও সন্ত্রাসের প্রতিবাদ বিদেশেও। ২৬ জনের মৃত্যুর প্রতিবাদে লন্ডনে পাক হাই কমিশনের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগান তোলা হল 'ভারত মাতা কি জয়'। জম্মু-কাশ্মীর থেকে জেরুজালেম, জেহাদিদের সন্ত্রাস গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক, এই আর্জি নিয়ে সোচ্চার হলেন প্রবাসীদের অনেকে। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, যাতে লেখা ছিল 'হিন্দু লাইফস ম্যাটার'। লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের তরফেও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। আর এই বিক্ষোভের সময়েই পাক হাই কমিশনে দাঁড়িয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা অফিসারের ছবি হাতে নিয়ে গলা কাটার অঙ্গভঙ্গি করলেন পাক সেনা অফিসার কর্নেল তৈমুর রাহাত।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসারন উপত্যকায় ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা হয়েছে। পর্যটকদের উপর গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। প্রথমে জানতে চাওয়া হয় তাঁদের ধর্মীয় পরিচয়। তারপর 'কলমা' পড়তে বলা হয়। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের, মূলত পুরুষদের মাথায় গুলি করে খুন করেছে জঙ্গিরা। ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। এই ঘটনায় যুক্ত জঙ্গিরা এখনও ধরা পড়েনি। তাদের খোঁজে কাশ্মীর জুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। ড্রোন উড়িয়ে চলছে নজরদারি। রাজৌরি সেক্টরের চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। জঙ্গি হামলার পরের দিন অর্থাৎ বুধবারই সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছিল এনআইএ। প্রথমে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে প্রকাশ করা হয় জঙ্গিদের স্কেচ। তারপর প্রকাশ করা হয় তাদের ছবি। সেদিনের ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুসারে চারজন জঙ্গি গুলি চালিয়েছিল বৈসারন উপত্যকায়। আর পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিল আরও তিন জঙ্গি। ঘন জঙ্গলের ভিতর থেকে পুলিশ এবং সেনার পোশাকে বেরিয়ে এসেছিল জঙ্গিরা। তারপর পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয় জেনে, হিন্দু পুরুষদের বেছে বেছে মাথায় গুলি করা হয়।