Kashmir Pahalgam Incident: পহেলগাঁওয়ের এক একটা খবর প্রকাশ্যে আসছে আর তা শুনে শিউরে উঠছেন দেশবাসী। অনেকেই এই আতঙ্কে কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়ার বাসনা হয়তো চিরতরে ত্যাগ করেছেন। আসলে মৃত্যুভয় বোধহয় এরকমই হয়। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে হওয়া আরও এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের কথা। বেঙ্গালুরুর এক প্রযুক্তি কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী এবং তিন বছরের ছেলের সামনে। ২২ এপ্রিল, ২০২৫- এই তারিখ ওই দুটো মানুষের জীবনে আজীবন ক্ষত রেখে দেবে, যে ক্ষতে হয়তো সময়ও প্রলেপ দিতে অপারগ। ভারত ভূষণ নামের ওই যুবকের শাশুড়ি মা সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন আরও বিস্ফোরক তথ্য। 

ইতিমধ্যেই সকলে জেনে গিয়েছেন যে, পহেলগাঁওতে পর্যটকদের নাম-পরিচয় জানার পর গুলি চালানো হয়েছে অবাধে। বলা ভাল, বেছে বেছে টার্গেট করা হয়েছে 'হিন্দু পুরুষদের'। বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তি কর্মীর শাশুড়ি মা সুজাতা জানিয়েছেন, গতকাল বিকেলের পর মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। মেয়ের থেকেই তিনি জানতে পেরেছেন, পর্যটকদের জিজ্ঞেস করা হচ্ছিল তাঁরা 'হিন্দু' কিনা। তারপরেই চালানো হচ্ছিল গুলি। আর ঠিক ততক্ষণ গুলি চালানো হচ্ছিল, যতক্ষণ না সামনের ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ওই মহিলার কথায়, 'তারা (পড়ুন জঙ্গিরা) স্পষ্টভাবে জিজ্ঞাসা করেছিল পর্যটকরা হিন্দু কিনা। তারপরেই চালানো হয়েছিল গুলি। আমার জামাইকে ওরা গুলি করে মেরেছে। মহিলা এবং বাচ্চাদের ওরা গুলি করেনি। কিন্তু পুরুষদের মাথায় গুলি করেছে। মাটিতে পড়ে না যাওয়া পর্যন্ত চালানো হয়েছে গুলি।'

মহিলা আরও জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে একজন ডাক্তার। ফলে বুঝতে পেরেছিলেন যে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তারপরই প্রাণ বাঁচাতে মোবাইল আর পার্স নিয়ে পালিয়েছিলেন। সুজাতাদেবী জানিয়েছেন, তাঁর মেয়েক নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, মৃত ভারত ভূষণের বয়স মাত্র ৪১ বছর। তিনি আদতে অন্ধপ্রদেশের নেল্লোরের বাসিন্দা। 

পহেলগাঁওয়ের কাছে 'মিনি সুইৎজারল্যান্ড' বৈসরণে আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। ইতিমধ্যেই এই জঙ্গি হানায় ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ২৬ বছরের এক নৌসেনা অফিসার। মৃত্যুর ৬ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। এছাড়াও মৃতদের তালিকায় রয়েছেন বাংলার তিন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে একজন আবার আইবি অফিসার। আরেকজন সুদূর ফ্লোরিডা থেকে দেশে এসে কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছিলেন। এখনও ধরা পড়েনি হামলাকারীরা। উপত্যকা জুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। ড্রোন উড়িয়েও চলছে নজরদারি।