শ্রীনগর: ফের অশান্ত উপত্যকা। জঙ্গিদের হাতে প্রাণ গেল এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের (Kashmiri Pandit)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় (Pulwama)ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। রবিবার সকালে বাজারে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ই জঙ্গিরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে জানা গিয়েছে। গত বছর অক্টোবরের পর এই প্রথম কাশ্মীরে ফের হামলার ঘটনা ঘটল (Pulwama Militant Attack)।
ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন নিহত ব্যক্তি
ট্যুইটারে হামলার খবরে সিলমোহর দিয়েছে কাশ্মীর জোন পুলিশ। তাদের ট্যুইটাার হ্যান্ডলে লেখা হয়, 'সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে জঙ্গিরা। নিহত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় শর্মা। কাশীনাথ শর্মার ছেলে তিনি। সকালে বাজারে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই গুলি চলে'। হামলার পর তড়িঘড়ি সঞ্জয়কে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
জম্মু ও কাশ্মীরে এই নিয়ে আরও একবার সংখ্যালঘু পণ্ডিতদের উপর হামলা চালানো হল। গত বছর, পর পর এমন বেশ কয়েকটি হামলা চালায় জঙ্গিরা। কিন্তু অক্টোবরের পর থেকে কিছুটা শান্তি ফিরেছিল। রবিবার সকালে তাতে ছেদ পড়ল। সাত সকালে বাজার যাওয়ার পথে জঙ্গিদের গুলিতে মারা গেলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত ওই ব্যক্তি।জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয়ের গ্রামে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। হামলাকারীদের খোঁজ চলছে।
এর আগে, গতবছর অক্টোবরে কাশ্মীরি পণ্ডিত এক কৃষককে হত্যা করে জঙ্গিরা। শোপিয়ানে নিজের বাড়ির বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিশানা করে এমন হামলা উত্তরোত্তর বেড়েছে বলে মত স্থানীয়দের। এর ফলে, গত কয়েক মাসে নতুন করে উপত্যকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হিড়িক লক্ষ্য করা যায়।
অক্টোবরের পর থেকে কিছুটা শান্তি ফিরেছিল
এ দিনের হামলার ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স ওমর আবদুল্লা। হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, ভারত সরকার উপত্যকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বরং তাদের ব্যর্থতারই ফলপ্রকাশ যে, আজ বলির পাঁঠা হচ্ছে কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।