নয়াদিল্লি: সীমান্ত সংঘাতের আবহেই আগামী মাসে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ভারতীয় বাহিনী।


বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতির জন্য এতদিন থমকে ছিল ভারতের যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক যুদ্ধ মহড়া। এখন পরিস্থিতির ভয়াবহতা কিছুটা কমায় এবার পুনরায় তা শুরু হচ্ছে।


আগামী মাসে রাশিয়ায় বসছে বড় সামরিক মহড়ার আসর। ভারত সহ বিশ্বের চার পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র ওই মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে। এই 'ওয়ার গেমস' গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই কারণে যে, ভারত ও রাশিয়া ছাড়া ওই মহড়ায় অংশ নিতে চলা বাকি দুটি দেশ হল পাকিস্তান ও চিন।


আগামী ১৫-২৬ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার ওরেনবুর্গ এলাকার ডংগুজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হতে চলা ওই যুদ্ধ মহড়ার নাম রাখা হয়েছে "কাভকাজ ২০২০"। এর আগেও ভারত এই গোষ্ঠীর মহড়ায় অংশ নিয়েছিল।


মূলত, সাংহাই কো-অপরাশেন অর্গানাইজেশন (এসসিও) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যেই এই সামরিক মহড়া হচ্ছে। ভারত ছাড়াও পাকিস্তান, চিন ও রাশিয়া এই গোষ্ঠীর সদস্য। এছাড়া, এই মহড়ায় অংশ নেবে ইরান, তুরস্ক সহ মোট ১৮টি দেশ।


কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ভারতীয় স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা থেকে মোট ২০০ জন জওয়ান-অফিসার ওই মহড়ায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে স্থলসেনার ১৬০ জন ও নৌসেনা ও বায়ুসেনা মিলিয়ে ৪০ জন অংশ নেবেন। আগামী মাসেই দক্ষিণ রাশিয়ার অস্ত্রাখানের উদ্দেশে রওনা দেবে ভারতীয় বাহিনী।


খবরের দিক থেকে এই মহড়াটি গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, মহড়ায় অংশ নেওয়া অন্যতম দুই দেশের নাম চিন ও পাকিস্তান। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সীমান্তে সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে।


এর আগে, গত জুন মাসে মস্কোর রেড স্কোয়ারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ভিক্টরি ডে প্যারেডে অংশ নিয়েছিল ভারত ও চিনা সেনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যদিও, তাঁদের মুখোমুখি সাক্ষাত হয়নি।


অন্যদিকে, সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ ও সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ সংঘাতপূর্ণ সম্পর্ক ভারতের।


এখানে বলে রাখা প্রয়োজন,  এসসিও হল বিশ্বের একমাত্র বহুরাষ্ট্রীয় গোষ্ঠী, যাদের নিজস্ব সন্ত্রাসদমন শাখা রয়েছে। এই বিভাগের নাম রিজিওনাল অ্যান্টি-টেররিস্ট স্ট্রাকচার (র‌্যাট্স), যার সদর উজবেকিস্তানের তাসখন্ড।