নয়াদিল্লি: মাটি ছোঁয়া মাত্রই তীব্র বিস্ফোরণ। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের গ্রাসে। তার পরও ভেঙে পড়া বিমান থেকে বেঁচে ফিরলেন ৩২ জন যাত্রী। কাজাখস্তানের আকতাউ শহরে বড়দিনের সকালে যাত্রীবাহী বিমানটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনাস্থলের ভিডিও দেখে কারও বেঁচে ফেরা সম্ভব নয় বলে ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই।  কিন্তু আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত করে বেঁচে ফিরলেন ৩২ জন যাত্রী, যার মধ্যে ১১ বছরের এক মেয়ে এবং ১৬ বছরের এক কিশোরও রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহতদের। (Kazakhstan Plane Crash)


বুধবার বড়দিনের উৎসবে যখন মাতোয়ারা গোটা বিশ্ব, সেই সময় কাজাখস্তানের আকতাউ-তে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটি ভেঙে পড়া মাত্রই আগুনের লেলিহান শিখা এবং কালো ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে যায় ধ্বংসাবশেষ।  কাজাখস্তানের জরুরি বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রক জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ৩৫ জন যাত্রী মারা গিয়েছেন। দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে সওয়ার ছিলেন পাঁচ বিমানকর্মী-সহ ৬৭ জন। (Kazakhstan Plane Crash Survivors)


আজেরবাইজান এয়ারলাইন্সের Embraer 190 J2-8243 বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনি যাচ্ছিল। ঘন কুয়াশার জেরে বিমানটি সমস্যায় পড়ে বলে জানা গিয়েছে। জরুরি অবতরণ করতে চেয়ে বার বার আর্জি জানায় কন্ট্রোল রুমে। মেশ কয়েক বার বিমানটি চক্কর কাটেও বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। কিন্তু একটা সময় পর আকাশ থেকে সটান মাটির দিকে নেমে আসতে থাকে। কিন্তু মাটি ছোঁয়া মাত্রই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। আগুনের গ্রাসে চলে যায় বিমানের ধ্বংসাবশেষ। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক।



স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিমান দুর্ঘটনার পর দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল চারিদিক। তড়িঘড়ি উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান্স। সেই সময় বিমানের ভেঙে পড়া পিছনের অংশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েক জন বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। তড়িঘড়ি ওই অংশের আগুন নেভানো হয়। তাঁদের উদ্ধার করা গিয়েছে।


প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আকতাউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামাই লক্ষ্য ছিল বিমানটির। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই, কাস্পিয়ান সাগরের তীরে বিমানটি ভেঙে পড়ে। জানা যাচ্ছে, ঘন কুয়াশার সমস্যা ছিলই, পাশাপাশি আকাশে একঝাঁক পাখির সঙ্গে বিমানটির ধাক্কা লাগে বলেও জানা যাচ্ছে। সেই থেকেই যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। পাইলটরা গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন, চেষ্টা করেন উচ্চতা কমিয়ে আনার। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। বিমানবন্দর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ভেঙে পড়ে বিমানটি।