রুদ্রপ্রয়াগ : প্রতীক্ষার অবসান।  উত্তরাখণ্ডের শিব তীর্থক্ষেত্র কেদারনাথ মন্দিরের বার্ষিক তীর্থযাত্রা শুরু হচ্ছে ২৫ এপ্রিল । এবার বেঁধে দেওয়া হল প্রতিদিন কত মানুষ কেদারনাথ দর্শন করতে পারবেন তার সংখ্যা।  প্রশাসনের তরফে স্থির করে দেওয়া হয়েছে, প্রতিদিন সর্বাধিক  ১৩,০০০ তীর্থযাত্রী কেদারনাথ দর্শন করতে পারেন।


তীর্থযাত্রীদের সুবিধা ও সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত। জানিয়েছে প্রশাসন। এই বছর থেকে দর্শনের জন্য দেওয়া হচ্ছে একটি করে টোকেনও।   রুদ্রপ্রয়াগ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ( DM ) ময়ূর দীক্ষিত মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানান। তীর্থক্ষেত্র ভ্রমণ ও দেবদর্শন যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, দুর্ঘটনামুক্ত ভাবে হয়, তাই এই উদ্যোগ, জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। 


প্রশাসক এবং রুদ্রপ্রয়াগের পুলিশ সুপার (এসপি) বিশাখা অশোক ভাদানে একত্রে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিশাখা অশোক ভাদানে কেদারদর্শনের আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রাখবেন ও সবরকম ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবেন। 


জানানো হয়েছে, যাত্রাপথে ২২ জন চিকিৎসক এবং সমান সংখ্যক ফার্মাসিস্ট থাকবেন।  যাতে তীর্থযাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে কোনও বিপত্তি না ঘটে, তাই এই ব্যবস্থা।  চিকিৎসকদলের মধ্যে  ৩ জন জেনারেল চিকিৎসক থাকবেন এবং দুইজন অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন থাকবেন।  এছাড়াও তীর্থযাত্রার পথে ১২ টি মেডিকেল রিলিফ পয়েন্টও স্থাপন করা হয়েছে। এই পথে  ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে।  যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করবে।


সুলভ ইন্টারন্যাশনালকে যাত্রা পথ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্দির চত্বর পরিষ্কার রাখার দায়িত্বে থাকছে কেদারনাথ নগর পঞ্চায়েত। সুলভ ইন্টারন্যাশনাল স্থায়ী শৌচাগার তৈরি করার কাজে লেগে পড়েছে ইতিমধ্যেই। বর্জ্য জিনিসপত্রে যাতে রাস্তাঘাট নোংরা না হয়, তার ব্যবস্থাও রাখা হবে।  প্লাস্টিক এবং জলের বোতলগুলির জন্য একটি QR-কোড সিস্টেম প্রয়োগ করা হচ্ছে। ঘোড়া ও অন্যান্য বাহক পশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষারও ব্যবস্থা করছে পশুপালন দফতর। 


জল সংস্থা সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ ধাম পর্যন্ত তীর্থযাত্রীদের বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য নয়টি জল পরিশোধক স্থাপন করেছে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, গুপ্তকাশী থেকে বাদি লিঞ্চোলি পর্যন্ত গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগম (জিএমভিএন) গেস্টহাউসগুলিতে ২৫০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও, কেদারনাথ ধামের নিউ ঘোদা পদভ এবং হিমলোক কলোনিতে ৮০ শয্যা বিশিষ্ট তাঁবুর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।  কলোনিতে মোট  ১৬০০ জন লোকের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশকর্তা জানান, সুশৃঙ্খলভাবে যাত্রা পরিচালনার জন্য ৪৫০ পুলিশ কর্মী থাকবেন।  রাজ্যের বাইরে থেকে ১৫০ থেকে ২০০ পুলিশকর্মী আসবেন।