নিউ দিল্লি : ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের জেরেই কি ১৮ ঊর্ধ্বদের ফ্রি-তে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র ? এনিয়ে আলোচনার মধ্যেই দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনাকে কেরলের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর পাঠানো চিঠি সামনে এল। যাতে ওই ছাত্রী করোনা পরিস্থিতিতে দেশের শীর্ষ আদালতের মধ্যস্থতার প্রশংসা করেছে। সুপ্রিম কোর্টের মধ্যস্থতার জেরেই এই অতিমারি পরিস্থিতিতে অনেক প্রাণ রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করে লিডউইনা জোশেফ নামে ওই ছাত্রী।
লিডউইনার চিঠির জবাব দিয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি। ভবিষ্যতের জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধানের সই করা একটি কপি পাঠিয়েছেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি চিঠিতে লিখেছেন, তোমার সুন্দর চিঠিটা পেয়েছি। তার সঙ্গে কর্মরত অবস্থায় বিচারকের একটি উষ্ণতাপূর্ণ ছবিও। দেশের বিভিন্ন ঘটনাবলী নিয়ে যেভাবে তুমি খোঁজখবর রেখেছ এবং অতিমারি পরিস্থিতিতে মানুষের ভাল থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছ তাতে আমি সত্যিই মুগ্ধ। আমি নিশ্চিত যে, তুমি একজন সতর্ক, জ্ঞানী এবং দায়িত্বশীল নাগরিকে পরিণত হবে। দেশ গঠনে যার প্রভূত অবদান থাকবে।
থ্রিসুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রী জোশেফ। নিজের চিঠির সঙ্গে একটি ছবি জুড়ে দিয়েছে সে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক বিচারক হাতুড়ি দিয়ে করোনা ভাইরাসকে আঘাত করছেন। রয়েছেন তেরঙ্গা, জাতীর জনকের হাসিমুখের ছবি এবং লায়ন ক্যাপিটাল।
প্রধান বিচারপতিকে পাঠানো চিঠিতে সে জানিয়েছে, দিল্লি এবং দেশের অন্য প্রান্তে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যু নিয়ে সে চিন্তিত ছিল। লিডউইনা লিখেছে, "খবরের কাগজ পড়ে আমি বুঝতে পেরেছি, করোনায় মানুষের মৃত্যু এবং ভোগান্তি নিয়ে খুব কার্যকরভাবে মধ্যস্থতা করেছে মাননীয় আদালত। আমি খুশি এবং গর্বিত এই কারণে যে, মাননীয় আদালত অক্সিজেন সরবরাহের আদেশ দিয়ে অনেক মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে। আমি বুঝতে পেরেছি যে, দেশে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার জন্য মাননীয় আদালত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এখন আমি খুবই খুশি ও গর্বিত।"
প্রসঙ্গত, গত মে মাসের শেষের দিকে যখন দিল্লি এবং দেশের অন্যান্য অংশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ব্যাপক থাবা বসিয়েছে, সেই সময় প্রধান বিচারপতিকে চিঠিটি লেখে কেরলের লিডউইনা।