তিরুবনন্তপুরম : করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। কেরলে কড়া হচ্ছে পুলিশও। লকডাউনের নিয়মনীতি লঙ্ঘন যাঁরা করছেন, তাঁদের উদ্দেশে সাফ বার্তা দিয়েছে পুলিশ। এখন নিয়ম ভাঙলে ভুগতে হবে ভবিষ্যতে। 


শনিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্থানীয় প্রশাসনিক স্তরে একটি অনলাইন বৈঠক করেন। করোনা নিয়ম নীতি পালন নিয়ে আলোচনা করেন ওয়ার্ড সদস্যদের সঙ্গে। নির্দেশ দেন, করোনা মোকাবিলায় নিয়মকানুন ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে কার্যকরী ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি গড়তে হবে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যখনই কোনও মানুষের প্রয়োজন পড়বে, তাদের ঘরে পৌঁছাতে হবে। এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটিকে এটা নিশ্চিতও করতে হবে। মানুষের প্রয়োজনে দাঁড়াতে হবে তাদের পাশে । একইসঙ্গে তাঁর আরও নির্দেশ, কোভিড সেন্টার বা হাসপাতালে পৌঁছানোর প্রয়োজন হলে, অ্যাম্বুলেন্সের  ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটিগুলিকে। কথাপ্রসঙ্গে, তিনি আলাপুঝার ঘটনাটিকে তুলে আনেন আলোচনায়। কোভিড নিয়ম ভেঙে এক করোনা রোগীকে মোটরবাইকে করে তুলে নিয়ে যেতে বাধ্য হন দুই কোভিড ভলান্টিয়ার। কারণ এলাকায় কোনও অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। পিনারাই বিজয়ন বলেন, বাইক কখনও অ্যাম্বুলেন্সের বিকল্প হতে পারে না। অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া না গেলে, প্রয়োজনে বিকল্প গাড়ির খোঁজে উদ্যোগী হতে হবে। 


এদিকে, করোনা মোকাবিলায় কড়া পুলিশও। উপযুক্ত কারণ ছাড়া বাইরে বেরোচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছে পুলিশ। কোচির কমিশনার সি এইচ নাগারাজু জানিয়ে দিয়েছেন, অহেতুক নিয়ম ভাঙলে এফ আই আর করা হবে। আর যাঁরা বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁদের ভবিষ্যতেও ক্ষতির কারণ হবে এই নিয়ম লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে চাকরির জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট চাইলে সমস্যায় পড়বেন এখনকার লকডাউনে নিয়মভঙ্গকারীরা। সমস্যা হবে পাসপোর্ট চেয়ে আবেদন করলেও। 


শুক্রবার কেরলে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন আটত্রিশ হাজার চারশো ষাট জন। মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল চার লাখ দুই হাজার ছশো পঞ্চাশ।