নয়া দিল্লি: বিবাদের রেশ যে এমন হতে পারে কেউ ধারণাও করতে পারেননি। স্ত্রীর রোষে কার্যত শরীরে বিষ ঢুকল স্বামীর। কেরালার কোট্টায়াম জেলার পাল শহরের এক মহিলাকে এই অপরাধে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ যে, তিনি তাঁর স্বামীর খাবারে মাদক মিশিয়েছেন একবার নয়, টানা সাত দিন। স্বামী সতীশ (৩৮) এর অভিযোগের পরে পুলিশ গ্রেফতার করেছে আশা সুরেশ (৩৬)-কে।


পুলিশ জানতে পেরেছে, এই দম্পতি ২০০৬ সালে বিয়ে করে ওই এলাকায় থাকতেন। প্রথমদিকে, সতীশ তার ব্যবসা নিয়ে নানা সমস্যায় ছিলেন। কিন্তু এর পর তিনি আইসক্রিম শিল্পে যোগ দেওয়ার পরে তা বদলে যায়। ২০১২ সালে দম্পতি পালাক্কাদে তাঁদের নিজস্ব বাড়ি কিনেছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সতীশের সঙ্গে ঝগড়া হত আশার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সতীশ লক্ষ্য করেন যে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন কাজ না করেই।


এরপর তিনি একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেন। চিকিৎসক তাঁকে বলেন, রক্তে সুগারের পরিমাণ কম হলে এমনটা হতে পারে। কিন্তু ওষুধ খেয়েও তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়নি। এরপর আরও চিন্তা বৃদ্ধি পায় তাঁর। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, সতীশ বাড়ির খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলেন। এরপর তিনি দেখেন যে তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতি লক্ষ্য করেন। এই ঘটনার পর স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ হয় তাঁর। তিনি তার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেন যে স্ত্রী আশা তার খাবারে কোনো ওষুধ যোগ করছেন কিনা তা জানতে চান।


সেই বন্ধু আশার কাছে গিয়ে একথা জানাতে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।  এমনকি তিনি তাকে হোয়াটসঅ্যাপে ওষুধের একটি ছবিও পাঠিয়েছিলেন। এরপরে বাড়ির ভিতর থেকে সিসিটিভি ভিজ্যুয়ালগুলি দেখার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন সতীশ। পুলিশ জানায়, সতীশের অফিসে নিয়ে যাওয়া খাবার ও জলে মাদক মেশাতেন স্ত্রী আশা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আশা জানান যে সতীশ তাঁকে তাঁর সম্পত্তি না দেওয়াতে এই কাজ করেন। তিনি বলেছিলেন যে সমস্ত সম্পত্তি তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ভাইদের দেবেন সতীশ, এমনতাই জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে পুলিশের তদন্ত চলছে।