কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: অবশেষে স্কুলের মুখ দেখল কচিকাঁচারা। কেউ ক্লাস টু, কেউ থ্রি - অথচ প্রথমবার স্কুলে আসা। অচেনা সহপাঠীকে এই প্রথম সামনে থেকে দেখা, হাতে হাত ধরে বন্ধুত্ব তৈরির পালা। পাড়ায় শিক্ষালয় শুরুর দিনে এই ছবি কলকাতার বেসরকারি স্কুলের। ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুল লাগোয়া মাঠে এবিপি আনন্দ। 


শুরু হয়েছে পাড়ায় শিক্ষালয়। কীভাবে ক্লাস হবে? সে বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, 'শিশুরা যারা এখনও ডোজ নেয়নি, আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার জন্য। সেখানে তাঁদের পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় করতে হবে। বৃষ্টির দিনে করা যাবে না। বৃষ্টির দিনগুলি দেখে নিতে হবে। বড় জায়গা থাকলে ভাল। বড় জায়গা না থাকলে গাছের তলায় পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় হবে। কিন্তু সেটা বৃষ্টির দিনে নয়। হঠাৎ ঝড় জলে বাজ পড়ে কেউ মারা গেল, সেটা যেন না হয়। সেটা শিক্ষকদের দেখে নিতে হবে।’ 


মমতার কথায়, এলাকা অনুযায়ী সেই ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'সরস্বতী পুজোর পর আইসিডিএস সেন্টারগুলি পাড়ায় পাড়ায় খুলতে শুরু করুক। মিড ডে মিল বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় করলে ওরা মিড ডে মিলটাও পেয়ে যাবে।’ সোমবার থেকেই শুরু হল পাড়ায় শিক্ষালয়। 


প্রাক প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পাড়ায় শিক্ষালয়। মমতার কথায়, "পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় একেবারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারায় প্রকৃতির মুক্তাঙ্গনে শিক্ষা। শিক্ষকরা যেমন ৫-৬ ঘণ্টা স্কুলে ক্লাস করাতেন তেমনটা হবে না। পাড়ায় পাড়ায় ২ ঘণ্টা সময় নির্ধারিত থাকবে। আসবে, পড়বে, মিড ডে মিল খাবে, বাড়ি যাবে। শিক্ষকদেরও খুব একটা সমস্যা হবে না। শনিবার ছুটি থাকবে।''


পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পে পড়ুয়াদের পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ক্লাস নেবেন স্কুলের শিক্ষক (Teachers), পার্শ্বশিক্ষক (Para Teachers), শিক্ষা সহায়করা। জানা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ লক্ষ প্রাথমিক পড়ুয়ার জন্য এই প্রকল্প। এই মুহূর্তে শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরে ভাবনা রাজ্য সরকারের। করোনা আবহে যেহেতু প্রায় ২ বছর স্কুল বন্ধ, তাই ছোটদের বিকল্প ক্লাসের ভাবনা বলেই শিক্ষা দফতর (Education Department) সূত্রের খবর।