তিরুবনন্তপুরম : কেরল। তামিলনাড়ুর মতো দক্ষিণের এই রাজ্যটিতে অবশ্য পালাবদলের ইঙ্গিত নেই বুথফেরত সমীক্ষায়। ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন পিনারাই বিজয়ন। এমনটাই বলছে সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষা।
তবে ক্ষমতায় যদি শাসকদলের প্রত্যাবর্তন হয়, তবে তা হবে এক অর্থে রেকর্ড। কারণ, এপর্যন্ত কেরলে কোনও সরকারই ক্ষমতা ধরে রাখার নজির গড়তে পারেনি। সেই খরা কাটিয়ে কি নয়া দৃষ্টান্ত গড়বে LDF সরকার ? নাকি ক্ষমতা দখল করবে কংগ্রেস ? জানা যাবে কালই।
দেশের একমাত্র বামশাসিত রাজ্য। কেরল বিধানসভায় মোট আসন ১৪০। অর্থাৎ ম্যজিক ফিগার ৭১। প্রতি ৫ বছর অন্তর একবার বাম, একবার কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে এই রাজ্যে। কিন্তু এবার কী হবে?
সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, এবার নজির স্থাপন হবে কেরলে। ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম জোট LDF। পাশাপাশি এবারও দাগ কাটতে ব্যর্থ হতে পারে বিজেপি।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৪০ আসনের কেরলে LDF ৭১ থেকে ৭৭টি আসনে জয়ী হতে পারে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন UDF পেতে পারে ৬২ থেকে ৬৮টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে সর্বোচ্চ ২টি আসন যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেরলে ১৪০টি আসনের মধ্যে ৯১টিতে জয়লাভ করে LDF। অন্যদিকে UDF জয়ী হয় মাত্র ৪৭টি আসনে। ক্ষমতায় আসার পর একাধিক ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছেন বিজয়ন। ২০১৮ সালে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয় কেরল। প্রচুর প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরেও ঘুরে দাঁড়ায় রাজ্য। এরপর গত বছর করোনার সংক্রমণ শুরু হয় এই রাজ্য থেকেই। একসময় শক্ত হাতে করোনার মোকাবিলা করে তারিফ কুড়িয়েছে বিজয়ন সরকার। এখনও পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, বিজয়ন সরকারের বিরুদ্ধে সেঅর্থে রাজ্যবাসীর মধ্যে কোনও ক্ষোভ নেই। এর পাশাপাশি এবার প্রার্থী নির্ধারণেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন বিজয়ন। প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া যাতে কাজ না করে তাই অনেক বিধায়ক ও মন্ত্রীকে টিকিট দেননি তিনি। তবে, বাম সরকারে বিরুদ্ধে যেতে পারে একটি বিষয়, তা হল- সোনা কেলেঙ্কারি। যা দীর্ঘদিন ধরে খবরের শিরোনামে থেকেছে। এদিকে বিজেপি এই রাজ্যে কার্যত কোমড় বেঁধে নেমেছে। ফলে, আগের থেকে তাদের ভোটও বেড়েছে। কিন্তু, সেটা কি প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াকে কাজে লাগানোর পক্ষে যথেষ্ট ? তা জানা যাবে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই।