তিরুঅনন্তপুরম: আর্থিক সঙ্কটে ভোগার যুক্তি দেখিয়ে কেরল সরকার সম্প্রতি কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যের কোষাগারের হাল সামলাতে আগামী ৫ মাস ধরে সরকারি কর্মচারীদের ৬ দিনের বেতন কেটে নেওয়ার উদ্দেশ্যে যে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে, তাতে স্থগিতাদেশ দিল না কেরল হাইকোর্ট। ওই অর্ডিন্যান্সে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে গিয়েছিল ৫টি বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠন। কিন্তু হাইকোর্ট তাদের সবার পিটিশন বিবেচনার জন্য গ্রহণ করেও অর্ডিন্যান্সে স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি হয়নি। আদালত বলেছে, রাজ্য সরকারের অর্ডিন্যান্স আনার এক্তিয়ার আছে। সরকার শুধুমাত্র বেতনের একটা অংশ প্রদান স্থগিত রাখছে, যা পরে পুষিয়ে দেওয়া হবে। গত ৩০ এপ্রিল ডিজাস্টার অ্যান্ড পাবলিক এমার্জেন্সি স্পেশাল প্রভিশনস অ্যাক্ট নামে নয়া অর্ডিন্যান্সে সই করেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।

গত মাসেই পিনারাই বিজয়ন সরকার কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় সব সরকারি কর্মীর ৫ মাস ধরে ৬ দিনের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নেয়। পাল্টা বিরোধী শিবিরের ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলি কেরল হাইকোর্টে গেলে আদালত সরকারের সিদ্ধান্ত রদ করে, যার জেরেই অর্ডিন্যান্স আনতে হয়।
হাইকোর্ট শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের আবেদন শুনে অর্ডিন্যান্সের ওপর স্থগিতাদেশ জারি না করায় কেরলের অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাক সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, যাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তাঁরা আমাদের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা বুঝতে পারেননি, সমাজে অসন্তোষ ছড়াতেই বিরোধিতা করেছিলেন ওঁরা।