তিরুঅনন্তপুরম: চিনে ত্রাস ছড়ানো নয়া করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে সৌদি আরবে? সৌদিতে কর্মরত কেরলের এক নার্সের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে বলে নিশ্চিত খবর জানিয়েছেন দেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন। চিনে ইতিমধ্য়ে ১৭ জনের প্রাণ গিয়েছে এই ভাইরাসের হানায়।
মুরলীধরন ট্যুইট করেছেন, প্রায় ১০০ ভারতীয় নার্স কাজ করেন সৌদির আল-হায়াত হাসপাতালে। এঁদের বেশিরভাগই কেরলের। ওঁদের সবাইকে পরীক্ষা করে একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। আক্রান্ত নার্সের চিকিত্সা চলছে আসির ন্যাশনাল হাসপাতালে। সেখানে তিনি চিকিত্সায় সাড়া দিয়ে সেরেও উঠছেন। সেখানকার ভারতীয় কনস্যুলেটকে সম্ভাব্য যাবতীয় সাহায্য দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। আক্রান্ত সন্দেহে ৩০ নার্সকে আলাদা জায়গায় সরানো হয়েছে বলে খবর।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বিদেশমন্ত্রককে চিঠি লিখে বিষয়টি নিয়ে উপসাগরীয় দেশটির সঙ্গে কথা বলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিত্সার বন্দোবস্ত করার অনুরোধ করেছিলেন। খবরে প্রকাশ, কেরলের কোট্টায়মের এট্টুমানুরের ওই নার্স ফিলিপিন্সের এক নার্সের চিকিত্সা করতে গিয়েই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
এদিকে বিদেশমন্ত্রক এক অ্যাডভাইসরি বা উপদেশমালা জারি করে চিন থেকে এদেশে আসা লোকজনকে সব বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপত্র রভিশ কুমার বলেছেন, চিনে থাকাকালে কারও নিজেকে সুরক্ষিত রাখার ব্যাপার হলে সেখানে আমাদের দূতাবাস প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু ভারতে কেউ এলেই তাঁকে স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ার মুখে পড়তে হবে। করোনাভাইরাসের দাপটে ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জরুরি বৈঠকের ডাক দেয়। মারণ ভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত হওয়ার খবরটি এসেছে আমেরিকা থেকে।


এই প্রেক্ষাপটে দেশের সব বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং বা তল্লাসি জোরদার করেছে ভারত। ৪৩টি ফ্লাইটে আসা ৯১৫৬ জন যাত্রীকে এপর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে একজনও কেউ করোনাভাইরাস শরীরে বহন করছেন কিনা, নিশ্চিত ভাবে জানার জন্য। হংকং সহ চিন থেকে আসা যাত্রীদের শনাক্ত করে থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি, কোচি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে।
কেন্দ্রীয় পরিবার কল্যাণ, স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রকও ভ্রমণ সংক্রান্ত অ্যাডভাইসারি দিয়েছে। চিন যাচ্ছেন, এমন লোকজনকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সতর্ক থাকার। ট্যুইটে তারা পরামর্শ দেয়, করোনাভাইরাস। আমরা সতর্ক। প্রস্তুতি চলছে। চিন থেকে আসা যাত্রীদের, করোনাভাইরাসের কোনওরকম লক্ষণ দেখামাত্রই যেন নিকটবর্তী জন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান।