তিরুবনন্তপুরম: মানুষ যে কতটা নৃশংস হতে পারে, তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা। একদিকে যখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পশুদের বিরুদ্ধে হিংসা আটকানোর জন্য লড়ছে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি, তখনই সমাজের আরেক অংশ চূড়ান্ত হিংস্র মনোভাব দেখাল এক হাতির প্রতি।
এক গর্ভবতী হাতি দলছুট হয়ে ঢুকে পড়েছিল লোকালয়ে। খুঁজছিল খাবার। তখন তাকে 'শায়েস্তা করতে' একটি আনারসে বোমা ভরে টোপ দেওয়া হয় হাতিটিকে। না-বুঝে হাতিটি আনারসটি খেতে যায়। তখনই বীভৎস শব্দে ফাটে বোমাটি। ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ঝলসে যায় হাতিটির মুখ। মারা যায় হাতিটি।
এই ঘটনা মানুষের নিকৃষ্ট মানসিকতা নিয়ে আরও একবার সামনে নিয়ে এল। বন দফতরের এক আধিকারিক, ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন।
মোহন কৃষণ নামে ওই বন দফতরের আধিকারিক লেখেন কীভাবে জখম হাতিটিকে উদ্ধার করে ওই হাতিটিকে। তিনি লেখেন, 'হাতিটি সবাইকে ভরসা করেছিল। যখন সে আনারসটি খায়, তখনও। সে হয়ত নিজের কথা ভাবেনি, ভাবেনি শরীরের ভিতর থাকা বাচ্চাটির কথাও। আর ১৮ থেকে ২০ মাসের মধ্যে একটি নতুন প্রাণ পৃথিবীতে আনতে চলেছিল সে। '


মুখের ভিতর বিস্ফোরক ফেটে যাওয়ার পরও সে কাউকে আঘাত করেনি। রাস্তা দিয়ে ছুটতে ছুটতে হাতিটি একটি নদীর জলে মুখ ডুবিয়ে বসে থাকে। পরে বনকর্মীরা নীলকন্থন ও সুরেন্দ্রন নামে দুটি হাতিকে এনে তাকে উদ্ধার করে। যদিও নদীতে থাকাকালীনই মারা যায় হাতিটি।
মর্মান্তিক এই ঘটনার নিন্দা করে  সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন অনেকেই। ঘটনার নিন্দা করেছেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, ক্রিকেটার মিতালি রাজ প্রমুখ।