নয়াদিল্লি: দিল্লিতে গতবারের ফলেরই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কংগ্রেসের? ২০১৫-র বিধানসভা ভোটের মতো এবারও তাদের খালি হাতেই ফেরাবে দিল্লিবাসী। তেমনই ইঙ্গিত প্রাথমিক গণনাপর্বে। এখনও কোথাও খাতা খুলতে পারেনি তারা। দলের দিল্লির শীর্ষ নেতা সন্দীপ দীক্ষিত স্বীকার করে নিচ্ছেন, কংগ্রেসের দিল্লির ভোটে খারাপ ফল হবে। এজন্য দিল্লি ইউনিটের শৈথিল্যকে দুষেছেন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে। গতকালই, ভোটগণনার আগের দিন তিনি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, আমি নিশ্চিত কংগ্রেস খারাপ ফল করবে। সেপ্টেম্বর থেকেই এটা জানতাম। দিল্লির দলীয় সংগঠনের ইনচার্জরা ঢিলেমি দিয়েছেন। দিল্লি কংগ্রেস, এআইসিসির দু-তিনজন দলকে শেষ করে দেওয়ার জন্য সরাসরি দায়ী।
দিল্লি কংগ্রেসের বড় বড় নেতারা, এআইসিসি ইনচার্জ তাঁর প্রয়াত মাকে অপমান করেছেন বলে জানিয়েও খেদ প্রকাশ করেন সন্দীপ।
তবে নির্বাচনের ফল সামগ্রিকভাবে এক্সিট পোলের পূর্বাভাস মতোই হবে বলে অভিমত জানিয়েছেন সন্দীপ। তিনি বলেছেন, আর কাউকে দোষ দেওয়া যাবে না। এটা আলাদা ব্যাপার যে, ভোটে হারের পর কাল থেকে নানা রকমের ব্য়াখ্যা, অজুহাত দেখানো হবে, সব কিছু আড়াল করা হবে। আমার মতে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় যা দেখছি, বাস্তবে ভোটের ফলে তারই প্রতিফলন দেখব।
দিল্লিতে কংগ্রেসের আশা করার মতো বেশি কিছু নেই, আপই দিল্লিতে সরকার গড়বে বলে মনে হয় বলে রবিবারই জানান কংগ্রেস এমপি তথা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহের স্ত্রী প্রণীত কউর।
কংগ্রেস এবার প্রচারে নামিয়েছিল রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী সহ বহু নেতাকে। কিন্তু বিজেপি, আপের চড়া সুরে প্রচারের পাশে দাগ কাটতে পারেনি তারা। দলীয় কোন্দলে জেরবার ছিল কংগ্রেস। বহু কেন্দ্রে আগেভাগে প্রার্থীই স্থির করতে পারেনি তারা, যার জেরে দলের সম্ভাবনা শুরুতেই মার খেয়েছে।
কংগ্রেস এবার রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সঙ্গে জোট করেছিল পূর্বাঞ্চলীদের ভোট পাওয়ার আশায়। চারটি আরজেডিকে ছেড়ে তারা নিজেরা লড়ে ৬৬ টি আসনে।