কলকাতা: আগামী কাল হেপাটাইটিস দিবস। বিশ্বজুড়ে করোনা সঙ্কটের মধ্যেও হেপাটাইটিসের বিপদ ভোলেনি মানুষ। এ বছর হেপাটাইটিস দিবসের থিম হেপাটাইটিস ফ্রি ফিউচার।

হেপাটাইটিস হৃদযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা। হৃদযন্ত্রের কোষ ফুলে গিয়ে বিপদ দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হেপাটাইটিসের কারণও ভাইরাস। এই অসুখ হয় ৫টি ভাইরাস থেকে। হেপাটাইটিসকে ভাগ করা যায় এ, বি, সি, ডি ও ই শ্রেণিতে। হেপাটাইটিস বি ও সি-র সংক্রমণ শরীরে শুরু হলেও বেশ কয়েক বছর তা টের পাওয়া যায় না। ফলে তা ক্রনিক হেপাটাইটিস হতে পারে। এতে রোগীর লিভার ফেলিওর হতে পারে, লিভার ক্যানসারেরও আশঙ্কা থাকে।

ভাইরাল হেপাটাইটিসকে বিশেষজ্ঞরা বেশি গুরুত্ব গেন। পাকিস্তানে করোনার তুলনায় বেশি মানুষ মরছে হেপাটাইটিসে। ৬ মাসের বেশি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞা তা অ্যাকিউট হেপাটাইটিস আখ্যা দেন। করোনার সঙ্গে তুলনা করলে হেপাটাইটিস বি ও সি অনেক বেশি প্রাণঘাতী। টিকা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সুবিধে বাড়লেও এতে মৃত্যু কমছে না। এ জন্য অবশ্য বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন এক শ্রেণির মানুষের অবহেলাকে। তাঁরা বলছেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। টুথ ব্রাশ আর দাড়ি কামানোর রেজার কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। মদ খাওয়া বন্ধ করুন। হেপাটাইটিসের লক্ষণ প্রথম দিকে বোঝা না গেলেও ক্লান্তি, ক্ষিদে না পাওয়া, পেটে ব্যথা, মাথা ধরা, মাথা ঘোরা ও গায়ের রং হলুদ হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।