নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ত্রাস কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে দেশ। গত বছর অক্টোবর মাস থেকে ধাপে ধাপে কয়েকটি রাজ্যে স্কুল, কলেজ খুললেও দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ফের বন্ধ হয়ে যায়। ফের একাধিক রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধি মেনে খুলছে স্কুল।


বিধি মেনে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে খুলছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার নিজেই জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কলেজ খুলবে। ৫০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী নিয়ে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির অফলাইন ক্লাস শুরু হবে। শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কর্মী, শিক্ষক, ছাত্রদের টিককরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


মধ্যপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে স্কুলে অফলাইনে পঠনপাঠন শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সবুজ সংকেত দিলেই তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সরকার। একইপথে হেঁটে স্কুল খুলতে চাইছে গুজরাত সরকারও। তবে এখনই পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলছে না উত্তরপ্রদেশে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, অনলাইন ক্লাসই চালু থাকবে। শুধুমাত্র শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা কাজের জন্য যেতে পারবেন স্কুলে।


দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়া জানিয়েছেন, তিন দফার পরিকল্পনা অনুযায়ী স্কুল খুলবে রাজধানীতে। প্রথম দফায় শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা অনলাইন ক্লাস করবেন। দ্বিতীয় দফায় পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কাজ করবেন শিক্ষক। অগাস্টে শ্রেণিকক্ষের পঠনপাঠন শুরু করা যায় কি না সেদিকে নজর দিচ্ছে দিল্লি সরকার।


১ জুলাই থেকে সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে অনলাইন ক্লাস পুনরায় চালু করার অনুমতি দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। উত্তরাখণ্ডের স্কুলগুলি গ্রীষ্মের ছুটির জন্য মে মাসে বন্ধ ছিল। তবে স্কুল খোলা এবং পড়ুয়াদের শারীরিকভাবে ক্লাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা- সব ক্ষেত্রেই অনলাইন ক্লাস চালুর  থাকবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে তেলেঙ্গানা সরকার।


বিধি মেনে রাজস্থানে খুলছে স্কুল। নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। তবে পড়ুয়াদের স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে এখনই অনুমতি দিচ্ছে না সরকার। শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনেশন হলে তবেই তাদের স্কুলে যেতে বলা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।