পার্থ প্রতীম ঘোষ, কলকাতা : চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথির আগমন হল। তবে এই অতিথিরা মোটেই বাইরে থেকে আসেনি। আলিপুর চিড়িয়াখানায় জন্ম হল নটি অ্যানাকোন্ডার। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, ভারতবর্ষের সমস্ত চিড়িয়াখানার মধ্যে সবথেকে বেশি অ্যানাকোন্ডা রয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানাতেই। সংখ্যার ভিত্তিতে দেশের সমস্ত চিড়িয়াখানার মধ্যে এগিয়ে তারাই। নতুন জন্মানো নটি অ্যানাকোন্ডা সুস্থই রয়েছে বলে খবর চিড়িয়াখানা সূত্রে।
জানা যাচ্ছে, গত ১১ জুলাই ৯টি অ্যানাকন্ডার জন্ম হয়। ২০১৯ সালের জুন মাসে চেন্নাই থেকে আলিপুরে যে চারটি হলুদ অ্যানাকোন্ডা নিয়ে আসা হয়েছিল, প্রথম এক বছর পর তাদেরই আরও সাতটি অ্যানাকোন্ডার জন্ম হয়। সদ্যই চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি আসার পর এখন অ্যানাকোন্ডার সংখ্যা দাঁড়ালো মোট কুড়িটি।
চিকিৎসক এবং কিপার সহ মোট পাঁচজন সবসময়ের জন্য পর্যবেক্ষণে রেখেছে নতুন অতিথিদের। আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যাচ্ছে, অ্যানাকোন্ডার মূল খাবার হিসাবে তাদের সাদা ইঁদুর দেওয়া হয়। নতুন জন্ম নেওয়া অ্যানাকোন্ডাদের আরও কদিন পর থেকে সাদা ইঁদুর খেতে দেওয়া হবে। অ্যানাকোন্ডা রাখার জন্য যে বিশেষ এনক্লোজার রয়েছে চিড়িয়াখানায়, আর কদিন পরই জন্ম নেওয়া এই নটি অ্যানাকন্ডাকে ছাড়া হবে সেখানে। অর্থাৎ, কার্যত লকডাউন শেষ হয়ে যাওয়ার পর চিড়িয়াখানা খোলা হলে নতুন অতিথিদের দেখতে পাবেন দর্শকরা।
কার্যত লকডাউনের কারণে ঘর বন্দি বহু মানুষ। বিশেষ করে বাচ্চারা। সংক্রমণের প্রকোপের কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি তো বন্ধ। চিড়িয়াখানা যে শুধু ছোটদের জায়গা, তা একেবারেই নয়। ছোটদের পাশাপাশি বড়রাও সমান উপভোগ করেন চিড়িয়াখানাকে। কিন্তু কার্যত লকডাউনের জেরে বন্ধ চিড়িয়াখানা। কবে খুলবে, তাও জানা নেই। তবে, চিড়িয়াখানা খুললে যে সেখানের প্রধান আকর্ষণ হবে নতুন জন্ম নেওয়া অ্যানাকোন্ডারা, তা বলাই বাহুল্য। আশা করা যাচ্ছে, খবরটি পড়া মাত্রই অনেকেই বলে উঠছেন, ইস! এখন যদি চিড়িয়াখানাটা খোলা থাকত! তাহলে শুধু খবরটা দেখে বা পড়ে নয়, সরাসরি গিয়ে দেখে আসা যেত।