পার্থ প্রতিম ঘোষ, কলকাতা: কলকাতায় আন্তঃরাজ্য পাখি পাচার চক্রের হদিশ। উদ্ধার ২৫০টি চন্দনা পাখি। ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেল সূত্র মারফত খবর পান রাঁচি থেকে কলকাতা হয় কিছু পাখিকে পাচার করার ছক তৈরি করা হয়েছে। সেইমতো শনিবার রাত থেকে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি চালাতে থাকেন ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলের আধিকারিকরা। রবিবার সকালে বাবুঘাটের বাস টার্মিনালে ঝাড়খণ্ডের নম্বর প্লেটের একটি বাস দেখে তাদের সন্দেহ হয়, বাসে তল্লাশি চালাতে গিয়ে উদ্ধার করা হয় পাখিগুলি।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ রাঁচিতে বাসের ডিকির ভেতর লুকিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় পাখিগুলি। বাবুঘাটে নিয়ে আসার পর হাতবদল হয়ে ফের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল। এক একটি পাখি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করার কথা ছিল পাচারকারীদের। বেআইনি এই কারবারের জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। যে বাসটিতে করে আনা হচ্ছিল সেই বাসের চালক ও খালাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তল্লাশির খবর পেয়ে চম্পট দেয় অন্য অভিযুক্তরা।
ছোট ছোট খাঁচায় করে পাখিগুলিকে আনার ফলে বেশকিছু পাখি আহত পর্যন্ত হয়েছে। ওয়াইল্ডলাইফ অ্যানিম্যাল রেসকিউ সেন্টারে বর্তমানে পাখিগুলিকে রেখে শুশ্রুষা করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানান খাবার এবং ওআরএস দেওয়া হচ্ছে। খাবার ছাড়াই রাঁচি থেকে পাখিগুলিকে আনা হয়। কিছু পাখি অসুস্থ হলেও বাকিরা মোটামুটি ঠিকই রয়েছে। আধিকারিকরা আদালতের অনুমতি পেলেই মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেবেন পাখিগুলি।
জানা গিয়েছে, আদালত থেকে অনুমতি পেলে বড় পাখিগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। একদম ছোট পাখিগুলি কিছুদিন পরে ছাড়বেন তারা। পাখি কেনা ও বেচা বেআইনি। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে পাখি বিক্রি হচ্ছে সেখানে নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। আজকের ঘটনার পর দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। পাচার চক্রের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের বাসটি। তবে ভালোবাসার আজকের বিশেষ দিনে মুক্ত আকাশ ফিরিয়ে দিতে পেরে খুশি সকলেই।