পরিবার সূত্রে খবর, হঠাতই প্রসব যন্ত্রণা শুরু। মনোহরা বিবির সঙ্গে ছিলেন শুধুমাত্র তাঁর দিদি। প্রায় দিশেহারা অবস্থা তাঁর। কী করবেন, কোথায় যাবেন বুঝে উঠতেই পারছিলেন না। মনোহরা বিবি বুঝতে পারছিলেন, সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার অপেক্ষায়। আরও বাড়ে প্রসব যন্ত্রণা। এরপর উপায়ান্তর না দেখে, বাসন্তীর পশ্চিম চৌবাগা মোড়ে বাস থেকে নেমে যেতে বাধ্য হন তাঁরা। রাস্তাতেই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন মহিলা।
সে সময় রাউন্ডে ছিলেন তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের অ্যাডিশনাল ওসি সৌভিক চক্রবর্তী। বিষয়টি নজরে আসতেই এক মূহূর্ত সময় নষ্ট করেননি তিনি। কার্যত গ্রিন করিডোর করে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয় মা ও তাঁর সন্তানকে ! সৌভিক চক্রবর্তী জানান, ঘটনাটি চোখে পড়তেই গাড়ি থামিয়ে, পাইলট কারে গ্রিন করিডোর করে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মা ও সন্তানকে। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল এখনও মানবিকতার সব আলো নেভেনি! আবারও কলকাতা পুলিশের মানবিক মুখ স্পষ্ট হল।
মাঝ রাস্তায় যখন প্রায় দিশেহারা অবস্থা, কী করবেন ভেবে কুল পাচ্ছিলেন না, সেসময় পুলিশের মানবিক মুখ দেখে আপ্লুত পরিবার।