সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: রাতের আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর ইচ্ছে ডানায় ভর করে সাফল্য। এলইডি ঘুড়ি বানিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিলেন কালীঘাটের বাসিন্দা ২ তরুণ। ভবিষ্যতে ঘুড়ি নিয়ে চলবে আরও গবেষণা, জানালেন তাঁরা।


রাতের ঘন কালো আকাশ চিরে জ্বলন্ত তিরের মতো কিছু যেন ভেসে চলেছে। কখনও চক্কর খাচ্ছে, কখনও আকাশের একদিক থেকে অন্যদিকে সরে যাচ্ছে। 


কী ওটা? অন্ধকারের সুযোগে কেউ কি তবে কলকাতার আকাশে জ্বলন্ত তির ছুড়ল? না কি পথভুলে চলে এল কোনও ভিনগ্রহী যান?


সোমবার কলকাতার কালীঘাট অঞ্চলের মানুষজনের মুখে মুখে ছড়াল রাতের আকাশের ওই অচেনা ছবি। মঙ্গলবারই মিলল সব প্রশ্নের উত্তর। রাতের আকাশে আসলে ঘুরছিল একটি এলইডি (LED) ঘুড়ি।


ঘুড়ি-লাটাইয়ের সঙ্গেই যেন সহবাস তাঁদের। সবসময়ই ঘুড়ি নিয়ে কোনও না কোনও গবেষণা করতে ভালবাসেন কালীঘাটের ২ তুতো ভাই সোহম সরকার ও শৌর্য সরকার। তাঁদের ঘুড়ি প্রেমের উৎসাহ জোগান কাকা সৌমিক সরকারও।


সোহম সরকার বলেন, ঘুড়ির নেশা সেই ছোটবেলা থেকে। লকডাউনের সময় যখন স্কুল নেই তখন অনলাইন ক্লাস সেরে বাকি সময়টা পুরোটাই কেটেছে ছাদে ঘুড়ি উড়িয়ে। আর নেশা এমনই জিনিস যে তাকে নিয়ে নিরন্তর চলেছে গবেষণা।


সৌমিক সরকার বলেন, গুজরাতে মকর সংক্রান্তি সময় যে ঘুড়ি ওড়ে বা বিদেশেও বিভিন্ন সময়ে আলো জ্বলা ঘুড়ি চোখে পড়েছে। আর সেখান থেকেই এইটা তৈরি করার ভাবনা মাথা ঘুরেছে। আমরা অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছিলাম এই ধরনের ঘুড়ি বানানোর। 


সোমবার সন্ধেয় যখন কালীঘাটের বাড়ির ছাদ থেকে প্রথম আলো জ্বলা ঘুড়ি ডানা মেলল আকাশে তখন আনন্দে আত্মহারা সৃষ্টিকর্তারা। সবার চোখে খুশির ঝিকমিক। শৌর্য সরকার বলেন, আমার দারুণ লেগেছে। এমন ঘুড়ি যে সবার তাক লেগে যাচ্ছে।


সদ্য উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনো তরুণের চোখে এখন নিত্যনতুন ঘুড়ি তৈরি করে দেশ-বিদেশের ঘুড়ি উৎসবে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন। প্রার্থনা শুধু একটাই, করোনা রাহুকে হারিয়ে দ্রুত সুস্থ হোক পৃথিবী।