প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: ‘সিবিআইয়ের সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে।’ এমনই দাবি অভিষেক-রুজিরার ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের।
এদিন রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব শেষে সোয়া এক ঘণ্টা পর অভিষেকের বাড়ি থেকে বের হয় সিবিআই। অভিষেক-পত্নীর বয়ান রেকর্ড করে তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআই সূত্রের খবর, প্রথম আধ-ঘণ্টা করা হয়েছে সাধারণ প্রশ্ন। তারপর তাঁকে করা হয়েছে বিদেশের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত প্রশ্ন। ব্যাঙ্ককের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত প্রশ্ন রুজিরাকে। বেশিরভাগ প্রশ্নের জবাব মেলেনি, এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের।
পরে, অভিষেক-রুজিরার ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে দাবি করা হয়, ‘জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব খুব ভালভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ‘সিবিআইয়ের সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে।’
যদিও, সিবিআই সূত্রের খবর, বেশিরভাগ প্রশ্নের জবাবে রুজিরা বলেন, ‘আমি জানি না, এই বিষয়ে কিছু খবর নেই। এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’ সূত্রের খবর, নিজাম প্যালেসে গিয়ে এরপর ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা হবে। বয়ান পর্যালোচনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত।
এদিন সিবিআই পৌঁছনোর আগেই অভিষেকের বাড়িতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের বাড়িতে থাকলেন প্রায় ৯ মিনিট। মুখ্যমন্ত্রী বেরনোর ৩ মিনিট পর পৌঁছয় সিবিআই।
কয়লাকাণ্ডের তদন্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ সদস্যের দল গঠন করে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৈরি করা হয় ৮ পাতার প্রশ্ন তালিকা। সিবিআইয়ের ৮ সদস্যের তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন এসপি পদমর্যাদার অফিসার বিশ্বজিৎ দাস।
ছিলেন অ্যাডিশনাল এসপি পদমর্যাদার তদন্তকারী অফিসার উমেশ কুমার। এছাড়াও, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই দলে ছিলেন ডিএসপি পদমর্যাদার দুই মহিলা অফিসার। খবর সিবিআই সূত্রে।
কয়লাকাণ্ডের তদন্তে আজ সিবিআইকে সময় দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা।
রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। সোমবার সকালে অভিষেকের স্ত্রীর উত্তর পৌঁছয় সিবিআইয়ের অফিসে। যেখানে যুব তৃণমূল সভাপতির স্ত্রী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গোয়েন্দারা তাঁর বাড়িতে আসতে পারেন।
রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে লিখেছেন, আমাকে কী কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে বা তদন্তের উদ্দেশ্য কী, তা আমি জানি না। তবে ২৩ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে আপনারা সুবিধা মতো আমার বাড়িতে আসতে পারেন।
সিবিআই সূত্রে দাবি, আজ সকাল এগারোটা নাগাদই রুজিরার বাড়িতে যাবে তারা।