কলকাতা : ফের একবার কলকাতার বহুতলে আগুন। সাতসকালে স্ট্র্যান্ড রোডে আগুন। সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ বহুতলের চারতলায় আগুন লাগে। নীচের তলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। দমকলের ৬টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
কিছুদিন আগে রেলের কয়লাঘাট ভবনে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। প্রাণহানি হয়েছিল একাধিক ব্যক্তির। সেই ভবনের থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বহুতল। গঙ্গার একেবারে পাশে অবস্থিত হওয়ায় হাওয়ার জেরে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা এমন পর্যায়ে যে বহুতলে ঢুকতে পারছে না দমকল। আশেপাশের বাড়ি থেকে চলছে আগুন নেভানোর কাজ।
বুধবার সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ এন সি দত্ত রোডে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের চারতলায় আগুন লাগে। দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা চারতলা। পাশের বহুতল থেকে ইট ছুড়ে জানলার কাচ ভেঙে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের দাবি, চারতলায় ক্যান্টিন ও কয়েকটি দফতর রয়েছে। সেখান থেকেই আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান। দমকলের ৬টা ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
গত ৮ মার্চ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের সার্ভার রুমে আগুন লাগে। স্টিফেন কোর্ট, আমরি হাসপাতাল, নন্দরাম মার্কেট থেকে বাগরি মার্কেট কলকাতায় ঘটে গিয়েছে একের পর এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। বারবার এভাবে বহুতলে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ফের উঠছে প্রশ্ন।
পূর্ব ভারতে বিস্তীর্ণ শাখায় অনলাইন বুকিং বন্ধ। মৃত্যু হয়েছিল একাধিক দমকলকর্মী সহ মোট ৯ জনের। বিপর্যস্ত হয়েছিল পূর্ব রেল, দঃ পূর্ব রেল, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের অনলাইন পরিষেবা। যে ঘটনায় একাধিক দমকলকর্মীরও মৃত্যু হয়েছিল।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর একে অপরের দিকে দোষারোপের পালাও চলে। রাজ্যের তরফে যেবার অভিযোগ আঙুল তোলা হয়েছিল রেলের দিকে, অন্যদিকে রেল ও কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের দমকল পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।