পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) ফের জেলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ফের হেফাজতে পাঠানো হল তাঁকে। তবে বৃহস্পতিবার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারক (CBI)। তদন্তে গতি আনার নির্দেশ দিলেন। 'দূণ এক্সপ্রেস' থেকে 'বন্দে ভারত এক্সপ্রেস' না হতে পারলেও, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অন্তত শতাব্দী এক্সপ্রেস হতেই পারে বলে মন্তব্য করলেন তিনি। 


আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ফের হেফাজতে পার্থ


বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব হয় দুই পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে। সেখানে সিবিআই জানায়, তদন্তে নতুন তথ্য হাতে এসেছে তাদের। জানা গিয়েছে, এজেন্ট নিয়োগ করা হয়েছিল। অযোগ্য প্রার্থীদের কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে চাকরি নিয়ে কথা বলতেন। তার পর চাকরির বিনিময়ে টাকা নিয়ে কথাবার্তা হতো। 


এর আগে, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে টাকার প্রসঙ্গ উঠলেও, তা নিয়ে কিছুু জানায়নি সিবিআই। কিন্তু এ দিন সিবিআই রিম্যান্ড কপিতে জানায়, অযোগ্য প্রার্থীদের টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়। এর পর বিচারক তদন্তকারী আধিকারিককে ডেকে কথা বলেন। কেস ডায়েরি ডেকে জানতে চান, এই এজেন্টদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন। 


আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: ‘মন্ত্রীর পক্ষে সব জানা সম্ভব নয়, দায় ঠেলা হচ্ছে ওঁর ঘাড়ে’, আদালতে সওয়াল পার্থর আইনজীবীর


এ দিন সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। তার খুঁটিনাটির উল্লেখ রয়েছে। তাতেই বিচারক বলেন, "প্রকাশ্য়ে নিয়ে আসুন এজেন্টদের। দূণ এক্সপ্রেস থেকে বন্দে ভারত না হলেও, শতাব্দী এক্সপ্রেস তো হতেই পারেন!" সিবিআই-কে নিশানা করেই এমন মন্তব্য করেন আলিপুর কোর্টের বিচারক। 


পার্থর আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে


আদালতে এ দিন পার্থর আইনজীবী যদিও জানান, তাঁর মক্কেলকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। একজন মন্ত্রীর পক্ষে সব কিছু জানা সম্ভব নয়। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। সিবিআই যে হেফাজতে নিয়ে রেখে দিয়েছে, সেটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও আদালতে দাবি করেন পার্থর আইনজীবী। 


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ ছাড়াও, এ দিন আদালতে তোলা হয় এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং  দুই মিডলম্যান প্রদীপ সিংহ এবং প্রসন্ন রায়কে। সেখানে ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই।