কলকাতা: পাঁচিলে পিছলে গিয়ে গলায় আটকে যায় চেন। দু’ঘণ্টার চেষ্টায় তরুণের গলা থেকে হার বের করলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। গত রবিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বছর ছাব্বিশের ওই তরুণের গলায় রড ও চেন ঢুকে যায়। পরিবারের লোকজন রড বের করতে পারলেও গলায় আটকে ছিল চেন।


ওই দিন রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণকে আনা হয় আর জি কর হাসপাতালে। সায়র চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্য চিকিৎসকরা অপারেশন করে গলার ভেতর থেকে চেন বের করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তরুণের অবস্থা স্থিতিশীল।


এদিকে, শহরের আর একটি হাসপাতাল এসএসকেএমে অটো দুর্ঘটনার গুরুতর জখম এক তরুণীর যেভাবে প্রাণ বাঁচল, তা কার্যত অবিশ্বাস্য। চিকিৎসকদের চেষ্টায় আপাতত স্থিতিশীল ওই তরুণীর শারীরিক অবস্থা। ওই তরুণীর জটিল অস্ত্রোপচার হল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। অটো দুর্ঘটনায় অটোর রড ভেঙে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে গিয়েছিল বুক।


৫ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে তরুণীকে বাঁচালেন এসএসকেএমের চিকিৎসকরা। শিরদাঁড়া ও লিভার ফুটো করে দেয় অটোর রড। ১৪ জনের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করে হয় অস্ত্রোপচারে বের করা হল রড। আপাতত স্থিতিশীল ধামাখালির বাসিন্দা তরুণী। রবিবার অটো দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ২১ বছরের তুহিনা পরভীন।


জানা গেছে, প্রথমে তুহিনাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে ওই অপারেশন। 


এভাবে শহরের দুই হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল এক তরুণ ও এক তরুণীর।  উল্লেখ্য,  কিছুদিন আগেই  এসএসকেএম হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বার জটিল অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। টিউমার অপারেশনের পর, সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, মা, শিশু দু’জনেই সুস্থ আছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অত্যন্ত জটিল ছিল ওই অপারেশন। প্রাণের ঝুঁকিও ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সফল হয় অস্ত্রোপচার।