কলকাতা: ‘বাংলা বিশ্ব বাংলা, বিশ্বসেরা হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলত, মমতা দুর্গাপুজো করতে দেয় না। আজ তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে’ ইউনেস্কোর (UNESCO) প্রসঙ্গে টেনে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পুরভোটের (Kolkata Municipality Vote) প্রচারে বেহালায় সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানেই তিনি বলেন।  


এ দিন তিনি আরও বলেন, ২০১৬ থেকে চেষ্টা করছিলাম, পুজো কার্নিভাল চালু করেছি। কেউ কেউ বলত, মমতা দুর্গাপুজো করতে দেয় না। আজ তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে। আজ বাংলার দুর্গাপুজো সারা বিশ্বে বন্দিত হয়েছে। আপনাদের একটা ভোট দিন, বাংলাকে বিশ্বসেরা করবই। 


চলতি সপ্তাহেই বাঙালির মুকুটে নতুন পালক জুড়ো ইউনেস্কোর (UNESCO) হেরিটেজ তকমা পেয়েছে দুর্গাপুজো (Durga Puja)। ধর্ম এবং শিল্পের মেলবন্ধনের জন্যেই সংস্কৃতিতে হেরিটেজ তকমা, বাধা দূর করে সবাই মিলিত হয় এই উৎসবে, দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়ে এমনটাই জানিয়েছিল ইউনেস্কো (UNESCO) । 


এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবেল কালচার হেরিটেজ তথা অনুনভবনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেওয়ার কথা জানানো হয়। ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত হওয়া UNESCO’র ১৬তম অধিবেশনে ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’কে বিশেষ সাংস্কৃতিক হেরিটেজের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।


ইউনেস্কোর পক্ষে বিবৃতিতে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষজন মেতে ওঠে দুর্গাবন্দনায়। দশদিনব্যাপী উৎসবের আসল টান 'ঘরে ফেরা'। শুধু দশদিনের উৎসবই নয়, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই উৎসবমুখর থাকে বাঙালি। মাটির প্রতিমা গড়া থেকে যে কাজ শুরু হয়ে যায়। প্রতিমা তৈরির পর তা সাজিয়ে গুছিয়ে বিভিন্ন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে এবং বাড়িতে পুজো-অর্চনায় মেতে ওঠেন সকলে।


এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাকে বিশ্বসেরা করতে যতদূর যেতে হয় যাব। দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোকে অভিনন্দন। দুর্গাপুজো আজ বিশ্বের উৎসব’


উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে কটক্ষ করে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, দুর্গাপুজোর মতো ঐতিহ্যকে ভোটের স্বার্থে কলুষিত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুজোর গরিমা যাতে বজায় থাকে সেটা তৃণমূল দেখুক।