সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ আগামী ১২ ঘণ্টায় পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সূত্রের খবর, আগামীকাল বিকেলে এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার গোপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের মাঝে কলিঙ্গপত্তনমের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। এর জেরে রাজ্যেও ফের বৃষ্টি শুরু হবে। আজ থেকেই দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন। কাল থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হবে। উপকূলবর্তী এলাকায় বইবে ঝোড়ো হাওয়া। অতি বৃষ্টিতে নদীগুলির জলস্তর বাড়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শহরাঞ্চলেও ফের জল জমার সম্ভাবনা। সমুদ্র উত্তাল থাকায় আজ থেকে বুধবার পর্যন্ত মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
একটা দুর্যোগ। এতগুলো প্রাণহানি। এখনও বহু জায়গায় জল যন্ত্রণার করুণ ছবি. একটা বিপর্যয়ের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে সামলে উঠতে পারেনি কলকাতা। এরইমধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আরও দুই নিম্নচাপ। গতকাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানায়, নতুন ঘূর্ণাবর্তের কারণে, সোমবার দুই মেদিনীপুর, ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরদিন, অর্থাত্, মঙ্গলবার, দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র ভারী বৃষ্টি হবে। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়ায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Dengue-Malaria: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নিয়ে উদ্বেগ, ৮ পুরসভাকে সতর্ক করল স্বাস্থ্য দফতর
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, উপকূল এলাকায়, ৭০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে কোস্ট গার্ডকে। জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। যাঁরা ইতিমধ্যেই মাঝ সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। মৎসজীবীদের ফেরাতে গতকাল আকাশপথে নজরদারি চালায় কোস্টগার্ড। শুক্রবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপে প্রশাসনের তরফে মাইকে সতর্ক করা হয়।