কলকাতা: ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন দিলীপ ঘোষ। পদ্মপুকুরে চায়ের আসরেও চলে জনসংযোগ। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার স্লিপ ও লিফলেট বিলি করেন দিলীপ ঘোষ।এরইমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের জবাবও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, পচা কুকুর, পচা মাংস তৃণমূলের কালচার।
মগরাহাটের বিজেপি নেতার মৃতদেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমারকাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল কালীঘাটে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান সুকান্ত মজুমদার, অর্জুন সিং-রা।রাস্তায় শববাহী গাড়ি থামিয়ে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ বাধা দিতেই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি।মগরাহাট পশ্চিমের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী ধুর্জটি সাহার মৃতদেহ ঘিরে এভাবে ধুন্ধুমারকাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে। পাল্টা তৃণমূল কটাক্ষ করে যে, প্রচার পেতে এসব করা হচ্ছে।
গতকাল ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে এই ঘটনা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একটি ছেলে ওঁদের মারা গেছে। নির্বাচনের সময় একটি ঘটনা ঘটেছিল। পরে ভালও হয়ে গিয়েছিল। পরে কোনও একটা সার্জারি হয়েছে। সেই সার্জারিতে মারা গেছে। যে কোনও ঘটনাই দুঃখজনক। আমার বাড়ির কাছে মৃতদেহ নিয়ে ঢুকছে। কত বড় ক্ষমতা! একটা করে কান মুলে দিলে পালিয়ে যাবে। ক্ষমতা নেই, বড় বড় কথা। তোমার বাড়ির সামনে একটা কুকুরের মৃতদেহ পাঠিয়ে দিই। ভাল হবে? মেশিনারি আমার কাছে নেই? এক সেকেন্ড লাগবে। পচা কুকুর তোমার বাড়ির সামনে ফেলে আসব, তুমি খেতে পারবে না ১০ দিন।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের জবাবে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেছেন, পচা কুকুর, পচা মাংস তৃণমূলের কালচার । ভাগাড়ের মাংস খাইয়েছেন কলকাতার মানুষকে। জিজ্ঞাসা করতে চাই দিদিকে ও তার ভাইদেরকে, ডেড বডি নিয়ে আসা রাজনীতি কে শুরু করেছিল? বীরভূম থেকে, হুগলি থেকে, মুর্শিদাবাদ থেকে ডেড বডি নিয়ে এসে কলকাতায় রাস্তায় বসে থাকতেন উনি। উনি এই কালচার নিয়ে আসেন।আপনি ঢিল মেরেছেন পাটকেল খেতে হবে। আপনার পুলিশ এফআইআরটা পর্যন্ত নেয় নি, এত কষ্ট হচ্ছে।