ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও রাজর্ষি দত্তগুপ্ত, কলকাতা: ১১ বছর ধরে মামলা চলার পর, বেকসুর খালাস পেলেন মাওবাদী নেতা তেলুগু দীপক। কিষেণজির ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি নাশকতা এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল। আলিপুর আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী একাধিক অভিযোগ থাকলেও পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলেনি। রায়ের বিরুদ্ধে এবার উচ্চ আদালতে যাচ্ছে রাজ্য।
তাঁর বিরুদ্ধে এক দশকের বেশি সময় ধরে চলছিল মামলা। শেষমেশ বেকসুর খালাস পেলেন মাওবাদী নেতা তেলুগু দীপক। শুক্রবার আলিপুর আদালত রেহাই দেয় কিষেণজি ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে। ২০১০ সালে সরশুনা থেকে তেলুগু দীপককে গ্রেফতার করে CID। সিআইডি সূত্রে খবর, ২৪ জন EFR জওয়ানের হত্যা, সাঁকরাইল থানার ওসিকে অপহরণ-সহ একাধিক ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল তেলুগু দীপকের বিরুদ্ধে। UAPA, ভারতীয় দণ্ডবিধি ও অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।
আরও পড়ুন: সিমবক্স প্রতারণারকাণ্ডে বরানগর থেকে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত
তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নন্দীগ্রামের জেলিংহ্যাম থেকে উদ্ধার হয় একে 47। ১১ বছর পর মামলা চলার পর, বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে ফাস্ট ট্র্যাক তিন নম্বর কোর্টের বিচারক বেকসুর খালাসের কথা জানান। আদালত সূত্রে খবর, তদন্ত প্রক্রিয়ায় গাফিলতির কারণে বিচারক বেকসুর খালাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তেলুগু দীপকের আসল নাম ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি। সিআইডি সূত্রে খবর, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর, মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত হন। কিষেণজির সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসেন বাংলায়। মাওবাদীদের ট্রেনিং দেওয়া থেকে বিস্ফোরক বানাতে পারদর্শী ছিলেন তেলেগু দীপক। বেকসুর খালাস পেলেও, এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না তেলুগু দীপক। আদালত সূত্রে খবর, আরও কিছু মামলা রয়েছে। সেগুলির জামিনের শর্ত পূরণ হয়েছে কি না তার নথি দেখবে জেল।