ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা: তথাগত রায়ের বাড়িতে গেলেন ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। প্রচার শুরুর আগে দলের প্রবীণ নেতার আশীর্বাদ চাইতেই এদিন তাঁর বাড়িতে আসেন প্রিয়ঙ্কা, জানিয়েছেন তথাগত রায়। ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয় কামনা করে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে শুভেচ্ছা জানান প্রবীণ বিজেপি নেতা। 


এদিকে এদিন ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার শুরু করলেন ফিরহাদ হাকিম। চেতলার রাখালদাস আড্ডি রোডে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেন পরিবহণমন্ত্রী। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় হাতে তুলে দেন প্রচার সংক্রান্ত লিফলেট। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইভোল্টেজ উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। কংগ্রেস প্রার্থী না দিলেও এই কেন্দ্রে লড়ছে সিপিএম। তাদের প্রার্থী আরেক আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস।


ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। বিধানসভা ভোটে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল এন্টালি কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়ে হেরে যান। এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী হচ্ছেন আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। এছাড়াও, সামশেরগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন মিলন ঘোষ, জঙ্গিপুরে সুজিত দাস। মুর্শিদাবাদের এই দুটি কেন্দ্রে প্রার্থীর মৃত্যুতে ভোট স্থগিত হয়ে যায়।


ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনে গতকালই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা ১২টার পর আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দেবেন তিনি। শুরু হয়েছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সার্ভে বিল্ডিং চত্বর।  ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘিরে ক্রমশ চড়ছে পারদ। প্রচারে কোনও কসুর রাখছে না তৃণমূল। হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের মাঠে নামিয়েছে তৃণমূল। 


কলকাতা পুরসভার আটটি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র। গত নির্বাচনে তার মধ্যে ৬টিতেই এগিয়েছিল তৃণমূল। বাকি দুটিতে লিড পায় বিজেপি। সার্বিক ফলে বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যে ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়েছিল সবচেয়ে বেশি ভোটে। আবার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে লিড ছিল বিজেপির।